আনলাইন ডেস্ক: ভাদ্রের প্রখর রোদ ও বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যে সারাদেশে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির দেখা না মেলায় দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই অস্বস্তিকর গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
বৃষ্টির অভাব ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টিতে অতি সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বান্দরবনে ১৬ মিলিমিটার হলেও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৫ এবং বুধবার সিলেটে ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদদের ব্যাখ্যা: আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ভাদ্র মাসে সাধারণত বৃষ্টি কমলেও বাতাসে আর্দ্রতা থাকে বেশি। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না হলেও গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। সূর্যের সরাসরি তাপ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এ মৌসুমেও গ্রীষ্মের মতো গরম পড়ছে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ দিন দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে গরমের দাপট আরও বাড়বে। রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও অন্যত্র বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
মানুষের দুর্ভোগ: রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে দিন-রাতের ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। গুলিস্তানের পান বিক্রেতা সীমা আক্তার বলেন, “দিন-রাত গরমে ঠিকমতো ঘুমানো যায় না, আবার রোদের তাপে দোকানদারিও করা কষ্টকর।”
আবহাওয়ার পূর্বাভাস: আজ শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে এবং কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
এছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে এ মাসে এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ এবং দুই থেকে তিনটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।
https://shorturl.fm/7OCth