রাত শেষের দিকে শীতটা যখন একটু বেড়েই উঠে, পাখির কিচিরমিচিরে ঘুম ভাঙে, রাস্তায় জেঠিমা-দাদিরা হেঁটে যায়, যেতে যেতে তারা বলে ”সকাল বেলা হাঁটলে শরীর ভালো থাকে, এবং সারাদিন ভালো কাটে”, তারা হেঁটে যাচ্ছে ঘন কুয়াশায় মিশে যাচ্ছেন। ঘন কুয়াশার মাঝখানে সোজা একটা পথ গিয়ে থেমেছে বাজারের রাস্তায়, রাস্তার পাশে ফুল আসা ধানের জমি, কতই না সুন্দর লাগছে।
কত সুন্দর গ্রাম, নেই হকারদের কোনো আওয়াজ,সকাল সকাল বাড়ির আবর্জনা নিতে কেউ বাঁশি বাজায় না,কোনো গাড়ির হর্ণ নেই। মা চলে যায় ঘরের সদস্যদের খাবার বানাতে, দাদা খবর কাগজ পড়ে, বাবা অফিস যাওয়ার জন্য তৈরি হয়, ছোট ভাই স্কুল না যাওয়ার বাহানা। সূর্য উঠে, কুয়াশা কমে, রৌদ উঁকি মেরে জানান দেয়, শীতল গায়ে আমার তাপ তোমাদের কে দারুণ শান্তি দেয়। ঘাসের ডগায় কুয়াশার পানি পা পরিষ্কার করে দেয়।কতই না সুন্দর।
তখন মনে একটাই চিন্তা কড়া নাড়ে, শহরে থাকা মানুষ কুয়াশা দেখা তো দূরের কথা তারা এই ঠান্ডা বাতাস ঘায়ে লাগাতে পারে না।
তাদের জন্য মন ভর্তি কষ্ট নিয়ে দাওয়াত দিলাম, একবার এসে ঘুরে যাবেন।