২০১৪ সালে ফোর্বসের বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারীদের তালিকার ৫২তম অবস্থানে থাকা আরিয়ানা হাফিংটন দ্য হাফিংটন পোস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক। আরিয়ানা হাফিংটনের লেখক ও অভিনেত্রী হিসেবেও বেশ পরিচিতি রয়েছে। গ্রিসে ১৯৫০ সালের ১৫ জুলাই জন্ম নেওয়া বিখ্যাত সাংবাদিক কন্সটানটিনোস ও এলি স্ট্যাসিনোপোউলোর মেয়ে এই নারী মিডিয়াকর্মী ১৬ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। সেখানে প্রথম বিদেশি ও তৃতীয় নারী হিসেবে ক্যামব্রিজ ইউনিয়নে যোগ দেন আরিয়ানা। আরিয়ানার বড় বোন আগাপি বেশ ভালো লেখক হিসেবে পরিচিত।
তখন তিনি নিজের লেখালেখি শুরু করেছিলেন। এদিকে বার্নার্ড লেভিনের সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় যেমন : ফেস দ্য মিউজিকের একটি সংখ্যায় দেখা যায় আরিয়ানাকে। তাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে।
বিবিসিতে তাদের একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়। অনুপ্রেরণায় তার সম্পাদকীয় সাহায্য নিয়ে লিখতে শুরু করেন আরিয়ানা। কিন্তু একটা সময় তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে ১৯৩০ সালে নিউইয়র্কে চলে আসেন তিনি। এরপর থেকে একের পর এক বই লিখে যান আরিয়ানা। নারীদের নিয়ে ১৯৭৩ সালে ‘দ্য ফিমেল উইমেন’ লেখেন তিনি। এরপর ন্যাশনাল রিভিউয়ের পাতায় ছাপান বেশ কিছু আর্টিকেল। একে একে প্রকাশিত হয় তার লেখা মারিয়া ক্যালাস ও পাবলো পিকাসোর জীবনী।
মাইকেল হাফিংটনকে বিয়ে করার পর কনজারভেটিভ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি। কাজ করতে থাকেন আরও বেশি। ১৯৯৭ সালে নিজের লেখা গানের জন্য অ্যামি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত হন আরিয়ানা। ১৯৯৮ সালে রেডিও অনুষ্ঠান লেফট, রাইট অ্যান্ড সেন্টারে কাজ করতে শুরু করেন তিনি এবং একটা সময় রিপাবলিকদের সমর্থন করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ডের দূত হিসেবে প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা ও পরে বার্লিনের সামিটে যোগ দেন তিনি।