আইন্ধার ঘরে একাকিত্বে বধূ
ফুরিয়েছে তার যৌবন মধু ;
পতি রয় দূরে দূরে
ঘর ছাড়ে রোজ ভোরে আর মাঝ রাতে ফিরে।
লোকে করে কানাকানি।
আমি তার পত্নী, হয় যে আমার মানহানি।
লোকে বুঝবে কি !
আমার পতি-ই তো করে ভ্রান্তি,
কি করে পাবো হৃদয় গভীরে শান্তি !
অন্তরেতে বিষের আগুন
পতির দেয়া শ্রান্তি ।
আঁধারে কাঁদি কতো
দূঃক্ষে লাগে ক্লান্তি ৷
লোকে করে কানাকানি,
দেয়না আমায় বুঝতে।
পতির দেয়া শ্রান্তি কালি
ক্যামনে পারুম মুছতে!
আমার পতি জুটিয়েছে এক রসের হাঁড়ি,
দলিল ছাড়া সতীন আমার-
পতির উপপত্নী।
পতির ছোঁয়া পাইনা দেহে
এমন হলে পেটে ভাতে বান্দী দাসির মাঝে
পত্নীর পার্থক্য কি হ্যা!
আমার পতি মিলায় সন্ধি
নষ্ট নারীর ঘরে,
যৌবন মধু ফুরিয়ে গেছে
অশ্রু তাই তো ঝরে।