• আজ- শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
Logo

মধ্যরাতের ফোন কল অত:পর

লেখক : / ১০৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

add 1
  • হাফিজ রাসা

রাত তিনটা। দীর্ঘদিন ধরে জটিল একটা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে সামিন। আজ অনেক জটিলতার পর কোনোরকমে শেষ করতে পারলো। ল্যাপটপটা বন্ধ করে দু হাত উঁচু করে মাত্র চেয়ারটার পেছনে নিজেকে এলিয়ে দিতে না দিতেই মোবাইল ফোনটা বেজে উঠলো। এ সময়ে কে ফোন দিলো আবার ? রাতে ফোন আসলেই সবার আগে মাথায় যে চিন্তাটা আসে তা হলো কোনো দু:সংবাদ এলো না তো! রাত জেগে কাজ করা সামিনের পুরোনো অভ্যাস। যদিও ফ্ল্যাটটাতে সে একাই থাকে তবু রাত এগারোটা না হলে কোনো কাজেই সে মনোযোগ দিতে পারে না। এখন কে ফোন দিলো? সম্ভাব্য নামগুলো মাথায় ঘোরাতে ঘোরাতে টেবিলের একপাশে রাখা মোবাইল সেটটা তুলে নেয় সামিন।

অর্পা! স্ক্রিনে এ নামটাই ভেসে আছে। কিন্তু এ নামটা তার সম্ভাব্য তালিকায় ছিলো না। এটা দেখবে সে মোটেই ভাবেনি। কারণ অর্পা তার কাজিন হলেও তার সাথে সামিনের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। এই ভালো নয় বলতে মন্দ কিছু না। বিষয়টা হচ্ছে বড় চাচার তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে আবির আর অনির সাথে সামিনের বেশ ভালো সম্পর্ক। কিন্তু অজানা কারণে অর্পা কেনো যেনো চাচার বাসায় গেলে কেমন দূরত্ব রেখে চলে। এমনও হয়েছে তাদের বাসায় সামিন গেছে দেখে বড় চাচিকে অর্পা বলেছে, এরা এতো ঘন ঘন এ বাসায় কেনো আসে।
এ কথাটা আর কেউ বললে হয়তো সামিন বিশ্বাসই করতো না। অথচ সে নিজের কানে শুনেছে। কেউ এমন কথা বলতে পারে কল্পনাও করা যায় না। তবু সামিন না শোনার ভাণ করে থেকে যায়। অবশ্য তারপর থেকে বড় চাচার বাসায় যাতায়াত বেশ কমিয়ে দিয়েছিলো ও।
সেই অর্পা তাকে ফোন করছে। তাও রাত তিনটায় বিশ্বাসই হচ্ছে না। কোনো সমস্যা নাকি! বড় চাচার কিছু হলো কি! অবশ্য তেমন কিছু হলে আবির ফোন করতো। আবির তার চেয়ে এক বছরের ছোট হলেও খুব ঘনিষ্ঠ ওরা।

ভাবনা চিন্তাকে বিদায় করে দিয়ে সাথে সাথে ফোনটা তুলে নেবে সামিন। শুনতে হবে বিষয়টা কি। তারপর যা করার করতে হবে।
– হ্যালো।
– সামিন ভাইয়া, তুমি কি ঘুমাচ্ছো!
আহ! কি মিষ্টি আর ভেজা ভেজা কন্ঠস্বর। সামিনের ভেতরটা জুড়িয়ে গেলো মনে হয়। অর্পা কি কখনো তার সাথে ফোনে কথা বলেছে।
উহু। একবারও না। এই প্রথম সে এই কন্ঠটা শুনছে। এতো মধু কেনো ওর কন্ঠে। অথচ এমন মধুকন্ঠী একটা মেয়ে কিনা কেমন রেগে রেগে থাকে সামিনের সামনে!
সামিনের চেয়ে পাঁচ বছরের মতো ছোট হবে অর্পা। এবার অনার্স দেওয়ার কথা। এ সময় কি এমন দরকার হলো যে রাত তিনটায় তাকে ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছে সে ঘুমাচ্ছে কিনা।
সামিন হাসতে গিয়েও হাসে না। কেউ ফোন যখন ধরেছে তখন কি ঘুমাতে পারে। রাতে ফোন দিয়ে আরো অনেককে এমন প্রশ্ন করতে দেখেছে সামিন। তাই হাসিটাকে নিয়ন্ত্রন করে ও।
– না। কেনো ? কারো কিছু হয়েছে, অর্পা ?
– হ্যাঁ।
– কার ?
– আমার।
– মানে ? তোমার কি হলো আবার। তাও এই রাত তিনটায়।
সামিন আবির আর অনিকে তুই তাই করে বললেও অর্পার সাথে মেশামেশি কম হওয়ার দরুণ তুই বলতে পারে না। সে কেমন দূরত্ব রেখে তুমিই বলে।
– আমি এখন মারা যাবো। আর তাই তোমাকে ফোন দিলাম।
– মানে! মারা যাবে কেনো ? শরীর খারাপ নাকি! বড় চাচা, চাচি, আবির কোথায় ? তাদের ডাকো।
সামিন অস্থির হয়ে যায়। বলছে কি মেয়েটা। সে মারা যাবে কেনো ? কী কারণে একজন মানুষ রাত তিনটায় ফোন করে মারা যাওয়ার কথা বলে ভাবে সামিন।
মুহুর্তে সে ব্যাপারটাবুঝে যায়। কারো সাথে প্রেম বিষয়ক সমস্যা থেকে মনোমালিন্য হয়েছে হয়তো। সেটা থেকেই এখন মারা যাওয়ার বিষয়টা মাথায় এসেছে। কম বয়সী মেয়েগুলো এমনই করে। প্রেম মানেই তাদের কাছে জীবন মরণের প্রশ্ন।
কিন্তু তেমনটা হলে সামিনকে জানাতে আসবে কেনো ? সম্পর্ক তো সামিনের সাথে নয়। সে কি ভুল করে সেই ছেলেকে ফোন না দিয়ে তাকে ফোন দিয়ে ফেলেছে!
তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ সে ফোন করে প্রথম কথাই বলেছে, সামিন ভাইয়া, তুমি কি ঘুমাচ্ছো !
ঐ ছেলের নাম নিশ্চিত সামিন হবে না। আর যদি হয়ও তাহলে তাকে অর্পার ভাইয়া বলে সম্বোধন করার কথা না। এখন তাকে কি বলবে সামিন। আচ্ছা, আগে শোনা যাক গল্পটা কিংবা মেয়েটা কি বলতে চায়।
– তাদের ডাকতে হবে না।
– তাহলে বলো, শুনি কি হয়েছে!
– তুমি কাল দশটায় আমার ভার্সিটির সামনে আসবে।
– কি!
– হ্যাঁ। আসতে হবে তোমাকে।
– কেনো আসবো। কারণ কি বলো শুনি।
– আসতে বললাম। আসবে। ব্যস। অন্য কোনো কথা বললে কিন্তু আমি এখনই দু পাতা ঘুমের বড়ি মুখে দেবো।
– এই পাগল, ভালো মানুষেরা কি এসব বলে না করে!
– আমি এখন আর ভালো মানুষ নাই। তুমি আসবে কি না বলো।
– আচ্ছা, আসবো। আবিরকে সাথে নিয়ে আসি।
– না। তুমি একা আসবে।
– আরে কোনো ঝামেলা হলে ও-ও না হয় থাকলো।
– না বলেছি তো। ঠিক দশটায় ভার্সিটির গেটে।
বলেই ফোনটা কেটে দিলো।
সামিন সেটটার দিকে তাকিয়ে দেখে ঠিকই ওপাশে ফোন রেখে দিয়েছে অর্পা। এখন বাজে তিনটা বিশ।এ সময় ঘুমালে দশটায় সে উঠবে কিভাবে। সর্বনাশ! ওকে কথা দিয়ে তো আরেকটা ভুল হয়ে গেলো। এখন কি করা।
না, এখন কিছুই করার নেই। ফোন দিলে হয়তো নাও ধরতে পারে অর্পা। মাথা চুলকে একটু সময় ভেবে কর্তব্যকর্ম ঠিক করে নেয় সে। বেশি পানি খেয়ে শুয়ে পড়লেই হবে। তিন চার ঘন্টা ঘুমিয়ে প্রস্রাবের বেগ পেলে উঠে গেলেই চলবে। পরে আর না হয় না ঘুমিয়ে থাকবে। কথা মতো শুয়ে পড়ে সামিন। কিন্তু মাথা থেকে হঠাৎ অর্পার ফোন, মারা যাচ্ছি প্রসঙ্গ এবং সর্বশেষে আগামিকাল দশটায় ওর ভার্সিটির সামনে থাকার বিষয়টা সরছেই না কোনোভাবে। তবুও ক্লান্ত শরীরে এক সময় ঘুম এসে ভর করে। ঘুমের অতলে তলিয়ে যায় সামিন।

দুই
রিক্সাটা এসে থামে ভার্সিটির গেটের পাশেই। সামিন নেমে ভাড়া চুকিয়ে দিয়ে রাস্তার পাশের একটা দোকানের দিকে আগায়।
আরো কয়েকজন কমবয়সী ছেলেমেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সামিন মনে মনে ভাবে কিছু ফুল কিনে ফেলবে কিনা। পরে ব্যাপারটা হাস্যকর হতে পারে ভেবে আর কেনে না।
একটা কফিশপ দেখে এগিয়ে যায় সামিন। হাফমুন। দোকানটার নামটা যেমন চমৎকার তেমনি এর ভেতরের ডেকোরেশনও। সামিন কোণের দিকের একটা টেবিল দখল করে বসে। বেশ ছিমছাম তবে খুবই আকর্ষনীয় জায়গাটা। আলো আঁধারির মাধ্যমে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। যে কারো এখানে ঢুকলে বসে থাকতে মন চাইবে।
ওয়েট্রেস মেয়েটা মেনু কার্ড হাতে এগিয়ে এলো।
ওরে বাবা। আসতে না আসতেই আক্রমন! কিছু না কিছু অর্ডার করতেই হবে। তা না হলে খালি মুখে বসে থাকাটা ভালো দেখাবে না।
সামিন হাসিমুখেই একটা কফির অর্ডার করে। মেয়েটা কাগজে টুক্ টুক্ করে লিখে চলে যাবে।
বেশি দেরি হয় না। এদের সার্ভিস বেশ ভালোই বলতে হবে। দশ মিনিটের মধ্যেই কফি নিয়ে হাজির। খানিক পরে কাপটা ঠোঁটে ছোঁয়ায়। টেস্ট ভালো। যাক। আবারও হয়তো এখানে আসা যাবে। অর্পা না ডাকলেও কফির লোভে আসবেই সে।
সময় যেতে থাকে। ইংরেজিতে কী একটা কথা আছে না! টাইম হ্যাজ উইংস। ঠিক তাই। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে ঘুরে এক ঘন্টা পেরিয়ে যায়। সামিন কী করবে এখন ?
এভাবে একটা জায়গায় বেশিক্ষণ বসে থাকা ভালো দেখায় না। তাছাড়া প্রায় টেবিলগুলোতেই তরুণ ছেলেমেয়েরা বসে আছে। অনেকে উঠেযাচ্ছে। আবার নতুন কেউ আসছে। সে একাই বসে আছে। এদের ব্যবসায়েরও একটা ব্যাপার থেকে যায়।
তারচেয়ে বড় কথা অর্পার এতো দেরি হচ্ছে কেনো ? সে কি ভুলে গেছে। সে কি কোথাও আটকে পড়েছে! নাকি …। কিছু একটা জানা গেলে উঠা যেতো। জানা যাচ্ছে না। অর্পাও দেরি হচ্ছে বলে কোনো ফোন দিচ্ছে না। তাহলে আর কী করবে ও ?
একটা কাজ করা যায়। অর্পাকে ফোন দিয়ে উঠে গেলে সবচেয়ে ভালো হয়। হ্যাঁ, অর্পাকে ফোন করবে ও।
সামিন ফোনটা তুলে সামনে আনে। তারপর অর্পার নাম্বার খুঁজতে থাকে। বেশ অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও সে নাম্বারটা পায় না। নাম্বার কোথায় যাবে ? কাল রাতে না কথা হলো ওর সাথে! তারপর তো কেউ আর ফোন দেয়নি তাকে। সে কেবল সকালে বের হওয়ার সময় বাড়ির গেটম্যান মনিরকে ফোন দিয়েছিলো।
না। কোনোভাবেই অর্পার নাম্বার বের করতে পারে না সে। কী হতে পারে। এমনটাই বা হবে কেনো ? তাছাড়া সে কোনো নাম্বার তো ডিলিটও করেনি। তাহলে ?
ভাবতে ভাবতেই আবার ফোনবুকে ঢুকে যায়। এখানে অর্পার নামটা বেশ কয়েকরকমভাবে সার্চ করেও পায় না। হলো কী তাহলে ? করা কী ?
এর মানে দাঁড়াচ্ছে সামিনের কাছে অর্পার নাম্বার ছিলোই না! তাহলে রাতে কার সাথে কথা হলো। তার তো অর্পার বলা প্রত্যেকটা কথা স্পষ্ট মনে আছে। কী হচ্ছে এসব। ইদানিং সে বেশি রাত জাগছে বলে কি এমনটা হচ্ছে তার। সেটাই বা হয় কী করে। সে তোর রাত জাগছে অনেকদিন।
উহু। কোনো সদুত্তর বের করতে পারে না। তবে তার মাথায় এসে একটা ভাবনা উঁকি দেয়। তা হলো সে এখন সোজাসুজি বড় চাচার বাসায় চলে যাবে। গিয়ে জানবে আসল রহস্য কী। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সামিন দ্রুত উঠে যায়। তারপর বিল দিয়েই বের হয়ে যাবে হাফমুন থেকে।

তিন
বড় চাচার বাড়ির গেটের সামনে এসে রিক্সা থেকে নামবে সামিন। তারপর পকেট গেট ঠেলে ভেতরের দিকে যাবে।
বেল বাজাতে গেট খুলে দেবে ময়না।
হুট্ করে চলে এসেছে যদিও কিন্তু অর্পার কথাটা সে কাউকে জিজ্ঞেস করবে না। অর্পা বিষয়ক কোনো কথা বলা যাবে না। কারণ তার সাথে এ বাড়ির সবার সুসম্পর্ক থাকলেও অর্পার সাথে যে দূরত্ব তা সবারই জানা। তাহলে ? এসেও তো লাভ হলো না।
সামিন বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। এমন সময় অনি আসে।
– আরে তুমি! এতো সকালে !
– এইতো আসলাম। দরকার আছে।
– কী দরকার!
– বলছি। চা খাওয়া আগে।
অনিকে চায়ের কথা বলতে অনি কাজ পেয়ে যায়। সে সামিনকে ড্রইংরুমে বসতে বলে চা আনতে চলে যায়।
সামিন ফাল্গুনের শুরুর না শীত না গরম পরিবেশে বসেও ঘামতে থাকে। সে বুঝতে পারে না। তার বোকামির বিষয়টা চেপে এ বাড়ি থেকে চা খেয়েই বেরিয়ে যাবে সিদ্ধান্ত নেয়।
অর্পার ফোনটাকে তার এতো বেশি গুরুত্ব দেওয়া, সময়মতো ভার্সিটির গেটে চলে যাওয়া এবং অর্পা সেখানে না আসায় তার খোঁজ নিতে বাড়ি পর্যন্ত চলে আসা। এসবের মানে সামিন অর্পার প্রতি খুব দুর্বল। আসলেই কি তাই! কিন্তু এ মেয়ে তো তার দিকে এই জীবনে একবারও ফিরে তাকায়নি। তাকাবেও না। তাহলে এমনটা করছে কেনো ও ?

কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা অর্পা রাত তিনটায় তার সাথে কথা বলেছে। অথচ কললিস্টে বা তা স্টোরের কোথাও মেয়েটার নাম, নাম্বার নেই। এর ব্যাখ্যা কী ? এর জন্যে কি একজন মিসির আলিকে খুঁজে বের করতে হবে সামিনকে!সেন্টার টেবিলের উপর থেকে পেপারটা টেনে নিয়ে মুখের সামনে মেলে ধরে ও। একটা খবরের দিকে মনোযোগী হতেই শোনে টুং টাং চুড়ির শব্দ। একটু পরেই কন্ঠ ভেসে আসে, পেপারটা ?
কথা শোনামাত্র সামিন চোখের সামনে থেকে পেপার নামিয়ে ফেলে। দেখে অর্পা দাঁড়িয়ে পেপারটাই চাইছে হয়তো।
পেপার সরানোর পর সামিনকে পেপারের আড়াল থেকে বের হয়ে আসতে দেখে অর্পার চেহারার কোনো ভাবান্তর হলো না। তারমানে সে তাকে কোনোভাবেই রাতে ফোন দেয়নি। তাহলে এখন অন্তত: তাকে দেখে একটু হলেও চমকে যেতো।
ঠিক তখনই চা নিয়ে রুমের ভেতরে ঢোকে অনি। এই সর দেখি, অর্পা।
অর্পা সরে দাঁড়ায়। চায়ের ট্রেতে বেশ কিছু নাস্তাও সাজানো। ট্রেটা সামনের টেবিলে নামিয়ে রেখে অনি বসবে পাশে। অর্পা কোনো অনুমতি না নিয়েই পাশে রাখা পেপারটা তুলে নিয়ে চলে যায়।
সামিন বোকার মতোই চেয়ে থাকে।
চা খাওয়া শেষে বেশিক্ষণ বসে না ও। বেরিয়ে আসে দ্রুতই। এখন কোথায় যাবে ? অনিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা গেলো না। অর্পাঅল্পসময়ের জন্য সামনে এলেও একেবারেচুপচাপ ছিলো। কী করবে সামিন।
না এর একটা শেষ সে দেখবে। যেভাবে হোক এর রহস্য উদঘাটন করবেই সে। কীভাবে ?
সেটা পরে ভাবলেও চলবে। এখন দ্রুত গুলশান যেতে হবে। গতকাল কমপ্লিট হওয়া প্রজেক্টের ডকুমেন্টস সব অফিসে গিয়ে এখনই জমা দিতে হবে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ

আজকের দিন-তারিখ

  • শনিবার (সকাল ৭:৩৬)
  • ২৭ জুলাই, ২০২৪
  • ২০ মহর্‌রম, ১৪৪৬
  • ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ (বর্ষাকাল)
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Sundarban IT