কতো ভালোবাসা কি যে করি,
সময়ের তাগিদে পুঞ্জ তুচ্ছ নিজের লক্ষ্য গড়ি।
মধ্যবিত্তের সন্তান মোরা আবেগ পদাচরণে,
মোর বিবেগ পরিবারের দায়িত্বে আমি আহাজারি।
সবাই জীবনের লক্ষ্য খোঁজাই ব্যস্ত।
মোরা লক্ষ্য তৈরিতে আসক্ত।
না লেখা গল্প সমাপ্তহীন কাব্য।
রচনা করলে অল্প অনুভবে বিস্তৃত।
না পূরণ হওয়া কিছু শখ, বাবার সামর্থ আর ডাক।
পুঞ্জ মিলাইয়া মোরাই নির্বাক।
সব চাওয়া পূর্ণতা না পেয়ে,
মুখটা হাঁসে ব্যর্থতা লুকিয়ে।
হ্যা ভাই আমরাই বড়ো ছেলে!
১৮ বছর পার নয় হতে যেতে হয় কর্মের পথে।
মোরা সবই পারি পরিবারের কথা ভেবে।
হ্যা ভাই, আমরাই বড়ো ছেলে।
দু-চার-বারোথ
করতে করতে পাড় হলো আঁঠারো।
সময় সামনে পূরণ হবে একে একে।
আমি জানি না,
হয়তো চলমান সময় একাকিত্ব আপন করে নিয়েছে।
কেনো একাকিত্বে নিজের প্রশান্তি খুঁজে পাই?
কেনো একাকিত্বে কাওকে সরং করলেও আনন্দ উপলব্ধি করা যায়।
কেনো একাকিত্ব নীরবে হাসাই-কাদাই দুটোই করে।
তারপরও একাকিত্বই ভালো লাগে।
আমি জানি না,
কেনো একাকিত্ব শুরু থেকে মেনে নেয় না।
ছেলেটা বুঝি বড় হয়ে গেছে,
যে ছেলেটা অনবরত কথা বলতে থাকতো
অপরিণামদশী ছেলেটাও আজ ভবিষ্যৎ ভাবে।
যে শুধুই বাইনা ধরতো আজ শক্তি উপসনা করে।
রগচটা ছেলেটাও আজ নিশ্চুপ ঘরের কোণে।
কি জানি তার কি হয়েছেথ
সে অন্ধ নয় স্বচল তাইতো বিবেগ বস করেছে।
যতই তারানোর চেশ্টা বাবার সামর্থ ভাসছে।
কী করবে মধ্যেবিত্তের বড় ছেলে যে!
খুলেছি চিরকূটের প্রথম ভাজ।
হেটেঘুরি দিব্যি আঁখিপাতে গোপন হৃদয়ে থাকা লাজ
কর্মে প্রশান্তি চাই পাচ্ছি না সমাজ পেপারের ভাজ।
যুগের ধারা বয়ে আসছে কালোছায়া শূন্য জুড়ে।
মায়া বাড়িয়েছে চাকরিতে দিবার আধারে
লাইট জ্বালিয়ে আলো দেখবে? ওটুকুও হারাবে।
দেখছে জনতা কেমন স্বাধীনতা?
করেছে কারাবরণ বর্বরতার স্বিকার।
লৌহ চিরে ফেলো সংগ্রামে প্রস্তত মোরা,
জেগে থাকা স্বপ্ন, মস্তিষ্ক ভরা দায়িত্ব।
রাজত্বের ওপর রাজত্ব, সব শেষে আমরাই মধ্যবিত্ত।