মধুমক্ষিকা হয়ে এদিক সেদিক উড়ি-
বেলা শেষে ঘরে ফিরে পিতৃ দেহে তীর ছুরি।
আমি এমনি এক নদীর মাঝি যে নদীর নাই তীর ;
বেকারত্বের ক্ষুধা আমারই গভীরে করেছে অসমাপ্ত ভীর-
আমি চেয়ে চেয়ে রোজ খেয়ে যাই পিতৃদেহের নীর।
মাথা ভরা চিন্তা জ্বলে উঠে গা,
আমি সমুদ্রের ভারী ঢেউয়ে পুটি একখানা ;
কি আর করিবোরে ভাই?
এ মহা ভীরের ঢেউয়ে করার কিছু নাই ;
বেকারত্বের ক্ষুধা নিয়ে আমি পিতৃ ক’ঙ্গালের ঝুল চেটে চেটে খাই।
চেষ্টার নাই কমতি,
যদি খুরতাম হতো তবে স্রোত বহমান গোমতী।
বৃহৎ স্বপ্ন করে লালন নিজেকে দিয়েছে বলিদান,
ছেড়া জুতা পায় আমায় সাজিয়েছে রামমোহন।
আমারি মাঝে সে বুনেছে স্বপ্ন, দেখেছে অনন্ত আসমান ;
সে আমার পিতৃ মহান।
আমি পরছিনা দিতে তারে স্বন বৃক্ষের ফল,
মাঝ রাতে ঝরে যায় অন্তর চক্ষুর জল৷
কোথায় মিলবে কর্ম আমার!
কোথায় পাবো সুধা!
অন্তরেতে বিষের আগুন
বেকারত্বের ক্ষুধা।