আদিম কালের বুড়ো বটগাছ
দেখতে ছাতার মতো,
আমার স্পর্শে নবীন প্রবীণ
এলো পথিক কতো।
আমার কোমল শীতল ছায়ায়
আরাম করে বসে,
চলার পথেই পথিক গল্পে
মনটা ভরায় রসে।
প্রখর তাপে পক্ষীকুল কে
লুকিয়ে সে ..রাখে,
আমার ডালে কোকিল বসে
কুহু সুরে ..ডাকে।
কাঠবিড়ালী যাচ্ছে ছুটি
প্রেম মিতালির ছলে,
আবার পথিক কাতর চিত্তে
ভাসায় চোখের জলে।
কতো যুগের যুগ বদলের
নিরব সাক্ষী আমি,
আমার ফুল-ফল কারোর কাছে
হয় যে অনেক দামি।
পরম বিশ্বাস পুজো দিয়ে
মালা অর্পণ …করে,
লাল রং ফিতার গিটের বাঁধন
আমায় জড়ায় ধরে।
গ্ৰামের সকল মানুষের সুখ-
দুখের কথা জানি,
সন্তান হারা মায়ের কান্নার
শুনি… আত্মগ্লানি।
ক্ষুধার জ্বালায় কোলের শিশু
ফুফে ফুফে ……কাঁদে,
তখন দেখি ধনীর কুঠিরে
পোলাও কোরমা রাঁধে।
যুগের উত্থান পতনের সব
বিমর্ষ রূপ দেখি,
ভালো মন্দ মিশ্রনের রাজ
ইতিহাস যে ..লেখি।
যুগ যুগান্তর বিস্তৃত রূপ
রক্তে ধারণ করি,
আমার জাতির কর্তন দেখে
কর্তন ভয়ে ডরি।
কখন জানি ধারালো ওই
ছুরির আঘাত লাগে,
আবার টুকরো টুকরো করার
ভীষণ যে ভয় জাগে।
বিশাল শীতল ছায়ায় বসে
নিদাঘ গ্রীষ্মের দিনে
আরামদায়ক বাতাস পাবে
নাকো আমার বীনে।