চুর যদি ধরে মুসল্লীর ভেস
আসে যদি সে ভেসে খোদার দোয়ারে
বুঝার কোনো উপায় নাই কে চুর কে মুসল্লী
সবাই যখন ঠেকায় মাথা চুর হয় নিচু
আসল মুসল্লীর জুতা নিয়ে দেয় দৌঁড়
কে আর তার ছুটবে পিছো!
চুর ও নাই জুতা ও নাই, মুসল্লী আছে জুতা নাই।
হয়তো মুসল্লী ধারনা করেনি খোদার ঘরে হবে চুরি
তাই তো চুরায় দেখাইয়া গেলো তার অসীম বাহাদুরি।
সময়ের বিবর্তনে চুর ধরেছে নতুন ধান্দা,
চুরের সঙ্গ দিয়েছে কিছু পবিত্র ভেসের বদ বান্দা।
ও বাঙালি চুপ কেনো!
বাশঁটা তাগো পুন্দে দিয়া হান্দা।
অশুদ্ধ বাঙালী কবে পাবে শুদ্ধতা!
অস্তিত্বহীন পথে ঘোড়ায় চড়ার মতে
অশুদ্ধ বাঙালি দেখিয়ে যাচ্ছে নিরবতা।
এতে বাঙালির দোষ নেই, দোষ নরম মনের, দোষ জ্ঞানহীন মস্তিষ্কের।
স্বাধীনতা সংগ্রামে যে ছিলো বিরোধী দলের নেতা,
যার আত্মায় মিশেছে পাকিস্তানের পেতাত্মা,
যে নিয়েছে কেরে লাখো নারীর ইজ্জত,
কৃষকের থালে উষ্ঠা মেরে কেরেছে তার কিসমত,
রাক্ষসী বুটের চেটেছে ধুলা বারবার,
তারাই রাজাকার।
রাজাকার ধরে যখন ইমামের ভেস
নির্লজ্জের দল সব ভুলে যায় ; কোমল কন্ঠে বলে- সব শেষ।
ভুলে যায় রাত দিন মুখরিত করা কোটি মানুষের দাবি
ভুলে যায় হৃদয় থেকে বেরিয়ে আসা স্লোগান-‘তুই রাজাকার তুই রাজাকার। ‘
রাজাকারের ধ্বংসে যে করে হৈ- হাল্লা
তার জন্য হবে না ভিন্ন পাল্লা সেও রাজাকার
তাকে ও মারো উষ্ঠা।
ধর্মের নাম বেঁচে যারা ধর্মের পবিত্র ঘরে লাগায় কালি
তাদের এবার উপড়ে ফেলো,
আবারো মুখরিত করো জয় বাংলার ধ্বনি৷
সংগ্রামী ইতিহাস কেনো বারবার যাও ভুলে ও কুলাঙ্গার বাঙালি!
তোমার আমার পার্থক্য ভুলে
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা কূলে
তুরা আবার বাঙালি হ্।