বর্ষা তুমি এলে যেন
নূপুর চরণে রিমঝিম ছন্দে মাতিয়ে
ধরনী-
আমার জীর্ণ কুঠিরের টিনের চালে
দিগন্ত ছুঁয়া সবুজের সমারোহে-
খাল বিল নদী
মাঝি আর জেলের মুগ্ধতায়।
বর্ষা তুমি এলে গাঁয়ের মেঠোপথ চপলা কিশোরীর নিদারুন উচ্ছলতায়
ফেরারী পাখিদের ডানায় চড়ে অপরুপ সাঁজে-
সরিয়ে মৌনতার আচ্ছাদণ।
বর্ষা তুমি এলে ভিজিয়ে দিয়ে তপ্ত উনুন ষোড়শী বধুর-
ভেঙে দিলে লোকলজ্জার ভয়
করে দিলে স্মৃতিকাতর আবার আমায় নতুন করে।
বর্ষা তুমি এলে আষাঢ়ের আমন্ত্রণে নির্জন সন্ধ্যার আলো আঁধারে বৃষ্টির সুগন্ধী গায়ে মেখে।