খোকা, যাচ্ছিস কোথা?
তুর সাথে ছিলো এক কান কথা;
ঔষধখানি শেষের পথে,
নিয়ে আসিস ফেরার পথে।
বুক জুঁড়ে থাকা জননীর সন্তান
দিলো মাকে বিষে ভরা বাঁণ;
বলে উঠলো,
বিরক্ত করো নাকো মা আর
খরচ নাকি বেঁড়েছে দ্বিগুণ তার!
যাচ্ছে সে আজ রেস্টুরেন্টে
এনিভার্সারি পালিত হবে দুপুরের লান্ঞিয়নে;
অশ্রুমাখা চক্ষুতে ভাবিতে লাগিলো
তাকে না দেখিয়েছিলাম এ ধরার আলো?
জননীর সন্তান ঘরে এলো।
ঢুকতেই জননীকে বলে-
তুমি পৃথক থাকাই ভালো;
জড়িয়ে খোকার বুক,
বলে জননী,
কেনো দিচ্ছিস এতো দুখ?
দন্ডিত জননী ঔষধ চাওয়ার কর্মে
স্হান তাহার আজ বৃদ্ধাশ্রমে;
জননীর খোকা কি ভুলেই গেলো?
নির্ঘুমে মায়ের কাঁটানো রাত্রিগুলো।
আজও জননী বৃদ্ধাশ্রমে
জানালার ধরে থাকে খোকার পাণে;
মা বলে ডাকে না কেউ তাঁকে
ভয়ে আর খোকা বুকে জড়ায় না মাকে।
ভোলেনি জননী ১০ মাস ১০ দিনের কথা;
খোকার একদিন পড়বে মনে
এই দুঃখী জননীর ব্যাথা।