সেদিন কাটিয়েছি নিদ্রাহীন এক অস্থির রজনী,
বিজলির দেখা নেই ঘুম থেকে উঠি বিতৃষ্ণায়;
সে আসে আর যায় বারেবারে হাওয়ার মতো;
রুমের অর্গলবদ্ধ দরজা খুলে হাঁটছি খোলা দিগন্তয়।
রাতজাগা পাখিরা আনাগোনা করেছে সুদূরে
মনে হয় বৈশ্বিক তাপদাহ চলছে দেশে;
কে যেন কাঁচাকাঠে আগুন ধরিয়েদিয়েছে জীবন্ত পৃথিবীতে
ধুঁইয়ে ধুঁইয়ে মানুষকে রান্না করছে প্রকৃতিতে।
বাতাসের একটা মিষ্টি ছোঁয়া, সে যেন এসেছে এইমাত্র
বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠলো রাস্তার মোরে মোরে ;
মিটিমিটি জোনাকির মতো অসংখ্য তারারা আলো ছড়ালো
একে একে সবাই হারিয়ে গেল নিজের ঘরে।
শুধু আমি ফিরিনি তখনো হঠাৎ দেখতে পেলাম-
বাড়ির পাশে লাল টুকটুকে গোলাপ ফুটেছে ;
ঠিক যেন প্রভাতের পূর্বে ওই নতুন গৃহের প্রাচীরে,
মিষ্টি একটা সুগন্ধ বেরিয়েছে নুয়ে পড়া গোলাপবৃক্ষ থেকে,
দেখে দেখে মুগ্ধ হয় আমি ধিরে ধিরে।
অত:পর আমি বাড়ির রাস্তা দিয়ে ফিরতে ফিরতে,
যেইনা ওকে ছুঁতে চাই সেই বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে যায়:
আবারও নির্ঘুম রাতে লোডশেডিং, হাঁপিয়ে ওঠে অঙ্গ শরীর-
ঝিঁঝিঁপোকারা গান ধরেছে গুনগুনিয়ে,কী যে জ্বালা মরার গরম!