![](https://www.sahityapata24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সবুজের লীলাভূমি ও ছায়াবেষ্টিত গ্রাম টুঙ্গিপাড়া। টুঙ্গিপাড়া একটা গ্রামের নাম নয় বরং একটা পীঠস্থান। গ্রাম বাংলার চিরায়ত বয়ে চলা নদী, হিজলের বন, পাখিদের কলরব, নদীর কলকল ধ্বনি আর শীতল বাতাস, সব মিলিয়ে শান্ত, স্নিগ্ধ,নিরিবিলি এক অপরূপ গাঁয়ের নাম টুঙ্গিপাড়া। আর সেখানেই শতবছর আগে এই দিনে জন্মেছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাঙালি জাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটি ছিল বুধবার, ১৭ মার্চ, ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দ । টুঙ্গিপাড়ার বনেদি পরিবার, বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়েরা খাতুনের ঘরে জন্ম নেন ক্ষণজন্মা ’বঙ্গবন্ধু’। জন্মের পর নানা শেখ আবদুল মজিদ তার নাম রাখেন শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর মাকে বলেন, ‘মা সায়েরা, তোর ছেলের এমন নাম রাখলাম, যে নাম জগৎজোড়া খ্যাত হবে।’ পরবর্তীতে তার কথার প্রতিটি অক্ষর সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
সেই মানুষটিই শোষিত, নিপীড়িত বাংলার মানুষকে মুক্তির পথ দেখিয়েছে, দিয়েছে স্বাধীনতার স্বাদ। বাবা-মায়ের খোকা, ভাইবোনদের মিয়াভাই রাজনৈতিক জীবনে বন্ধু, নেতা, কর্মীদের কাছে পরিচিতি পান মুজিব ভাই হিসেবে। সেই খোকা, মিয়া ভাই আর মুজিব ভাই একসময় হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু। ৫৫ বছর বয়সে কিছু বিপথগামী সেনা কেড়ে নেন তাঁর প্রাণ। কিন্তু তাঁর নাম আজ দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। তিনি অমর। তিনি মানব থেকে হয়েছেন মহামানব।