বছর চারেক আগে আমি একটা ট্রেনিং প্রগ্রামে যেতাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে। বঙ্গবন্ধুর বাড়ি থেকে খুব কাছেই। আমার কলকাতার ফেসবুক বন্ধু গৌরব অধিকারী একটা অদ্ভুত জিনিস চাইল। ৩২ নম্বরের মাটি। অনেক দিন ধরেই বলছিল যে ধানমন্ডি গেলে বংগবন্ধুর বাড়ির এক মুঠো মাটি যেন ওর জন্য এনে দেই। এত কিছু থাকতে মাটি কেন?? ভীষণ অবাক অবাক হলাম গৌরব বলে আমি বঙ্গবন্ধু কে ভীষণ শ্রদ্ধা করি। উনার পদধুলি পড়া, ৩২ নম্বরের মাটি আমার কাছে পবিত্র। একদিন ট্রেনিং শেষে চলে গেলাম বঙ্গবন্ধুর বাড়ি। বর্তমানে এটা খুব সুন্দর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর। সব ঘুরে টুরে দেখলাম। এখনো দেয়ালে আছে ঘাতকদের ছোড়া বুলেটের আঘাতে হয়ে যাওয়া গর্ত। গৌরবের জন্যে মাটি নিলাম একটু। শুধু মাটি কি বন্ধুকে উপহার দেয়া যায়? সেখানকার স্যুভেনির কর্নার থেকে আমি বঙ্গবন্ধু স্মারক কিছু উপহার, অসমাপ্ত আত্মজীবনি বই, আর বঙ্গবন্ধুর পোস্টার নিলাম। বঙ্গবন্ধুর বইতে লিখে দিলাম বঙ্গবন্ধুর একজন ভারতীয় ভক্ত কে তার গুনমুগ্ধ বাংলাদেশীর শুভেচ্ছা। সব শুদ্ধো পার্সেল করে ওর ঠিকানায় পাঠিয়ে দিলাম। কিন্তু সেটা পেতে ওর জুতোর তলি ক্ষয় করতে হল পোস্ট অফিসে ঘুরতে ঘুরতে। বেশ অনেক দিন পর সে পেলো আমার পার্সেল। কী যে খুশি। লাইভ করে গোটা দুনিয়া কে জানিয়ে দিল এই খবর যেন নোবেল প্রাইজ পেয়েছে। সামান্য উপহার একটা মানুষ কে এতো টা আনন্দ দিতে পারে ভাবাই যায়না। আমি যে স্বর্গীয় আনন্দ পেয়েছিলাম সেটা অনির্বচনীয়। ওর সাথে দেখা হল গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে কোলকাতায়।আমার হোটেলে নিজেই চলে এলো। এবারে ওর জন্যে নিয়ে গেছিলাম বংগবন্ধুর তিন রকমের পিতলের কোট পিন। এগুলা কিনেছিলাম আওয়ামীলীগ এর পার্টি অফিসের সামনে থেকে। ভীষণ খুশি হলো। আমার জন্যে সে নিয়ে এলো ও যে প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করে তাদের দুটো বই। আমরা পার্ক স্ট্রীটের এক রেস্তোরায় পুরো সন্ধ্যায় আড্ডা দিলাম।