আহা কি অপরূপ তুমি !
তোমার সবুজ-শ্যামল রূপ, প্রাকৃতিক শোভা
আমি দেখে দেখেই বড়ো হয়েছি
আমি বড়ো হয়েছি বনেবাদাড়ে ঘুরে।
তোমার ধু-ধু প্রান্তর
সোঁদা মাটির গন্ধ,
আমাকে আকৃষ্ট করে, মোহিত করে
এ যেনো এক আত্মার সম্পর্ক।
এখানকার বন-বনানী আমার অতি আপন,
ছায়াঘেরা অবারিত সবুজের সমারোহ আমার চারপাশে খেলা করে।
নানা রঙের ফুল রাঙিয়ে দেয় প্রকৃতি,
দেখলেই চোখ জুড়ায়।
ফসলের পর ফসলের মাঠ দৃষ্টি কাড়ে,
ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই তোমার রূপোলীলার মাঝে।
কাশফুলের মায়াবী হাসি
মনে শিহরণ জাগায়,
নদ-নদীর স্বচ্ছ জল তৃষ্ণা মেটায়,
এ যেনো এক স্বর্গীয় সুধা।
পাখিদের কলকাকলি
আজানের সুমধুর ধ্বনি শিরায় শিরায় স্পন্দিত হয়।
স্পন্দিত হয় স্নায়ু কোষে,
ঐ দূর সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে পাহাড়-অরণ্য,
ইশারায় কাছে ডাকে
কি অপরূপ দেখতে!
যেন ঠাঁই করে নিয়েছে হৃদয়ের খুব নিকটে।
পড়ন্ত বিকেলে সূর্যাস্তের দৃশ্য কি অপূর্ব সুন্দর
শুধু দেখতেই ইচ্ছে করে,
যেনো আপন হাতে রাঙিয়ে দিয়ে যায় প্রকৃতি।
তাই’তো বলি, অনন্যা রূপসী আমার প্রিয় জন্মভূমি।