পুরো পৃথিবী এক দিকে, আর আমি অন্য দিক/ সবাই বলে করছ ভুল, আর তোরা বলিস ঠিক/ তোরা ছিলি, তোরা আছিস/ জানি তোরাই থাকবি/ বন্ধু বোঝে আমাকে, বন্ধু আছে আর কী লাগে?’ শিল্পী তপুর গাওয়া গানটা মনে পড়ে? বন্ধুত্ব ঠিক যেন এমনই। মানুষ যুগ যুগ ধরে এই বন্ধুত্বকে উদ্যাপন করেছে।
বন্ধুত্বের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ লাগে না। বন্ধুত্বের কোনো বয়সসীমা নেই। সমবয়সীরাও যেমন বন্ধু হতে পারে, তেমনি বয়সে ছোট-বড়রাও বন্ধু হতে পারে। মনের মিল হলেই বন্ধু হওয়া যায়। বন্ধু দিবসের পরিকল্পনা ও উৎপত্তি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ১৯১৯ সালে সর্বপ্রথম আগস্ট মাসের প্রথম রোববার ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়েছিল।
১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এক ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন ওই ব্যক্তির এক বন্ধু আত্মহত্যা করেন। সেই দিনটি ছিল আগস্ট মাসের প্রথম রোববার। তখন থেকেই তার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে মার্কিন কংগ্রেস ১৯৩৫ সালের আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে ‘বন্ধু দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর বেশকিছু দেশ বন্ধু দিবস পালনের সংস্কৃতিকে সাদরে গ্রহণ করে। এভাবেই এ দিবস পালনের পরিসর বাড়তে থাকে। পৃথিবীর সব মানুষের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক। সবার বন্ধুরা ভালো থাকুক।