অনলাইন ডেস্ক: অপরিশোধিত তেলের বাজারে দামের পতন থামছেই না। ব্যারেলপ্রতি দাম নেমে এসেছে ৬৫-৭০ ডলারে, যা এ বছর ইতোমধ্যেই প্রায় ১২ শতাংশ হ্রাস নির্দেশ করছে। এই পরিস্থিতিতে সৌদি আরব, রাশিয়া ও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ নিয়ে গঠিত ওপেক প্লাস জোট রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বৈঠকে বসছে। উৎপাদন বাড়ানো হবে নাকি আগের মাত্রা বজায় থাকবে—এ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৈঠকটি ভলান্টারি এইট বা ‘ভি৮’ নামে পরিচিত দেশগুলোর মধ্যে হচ্ছে। সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাজাখস্তান, আলজেরিয়া ও ওমান এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওপেক প্লাস প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমালেও, এপ্রিল থেকে ভি৮ দেশগুলো বাজারের অংশীদারত্ব পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়ে উৎপাদন বাড়ানো শুরু করেছে।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, বছরের শেষ প্রান্তিকে সাধারণত তেলের চাহিদা কম থাকে। ফলে উৎপাদন না বাড়ালেও উদ্বৃত্ত সরবরাহ দামের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। বাজারে গুঞ্জন উঠেছে, অক্টোবর মাসের জন্য নতুন করে উৎপাদন কোটা সমন্বয় করা হতে পারে।
এদিকে ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিও তেলের বাজারে প্রভাব ফেলছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মস্কোর উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিষয়টিকে জটিল করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ভারতের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রাশিয়ার রপ্তানি সীমিত হয়, তবে ওপেক প্লাসের জন্য বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি হতে পারে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে রাশিয়ার উচ্চ তেলের দাম বজায় রাখা জরুরি হওয়ায় তাদের জন্য উৎপাদন কোটা বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগানো সহজ হবে না।