শরতের চিঠি খোলা, শব্দে গোপন ঘর,
নিঃশব্দ বিদ্রোহ ডাকে জানালার অন্তর।
আমি বসি ধারে তার, লিখি প্রেমের নাম,
কাগজ নয়—নক্ষত্রের দহনিত আবহাম।
শব্দগুলো ছুটে যায় মহাকর্ষ ভেঙে,
আকুলতা জ্বলে ওঠে মহাশূন্য রঙ্গে।
তুমি আছো গভীরে, ভাষার হৃদকমল,
অচেনা গ্রহ যেন, আলোর অক্ষাংশে দল।
তোমার নীরবতা যেন প্রাচীন সমুদ্র,
তরঙ্গ ভাঙে প্রতিক্ষণ—তীরে পায় না সুধ্র।
প্রেম এক সংহিতা, রহস্যে গড়া কঠিন,
তবু কুয়াশার মতো গলে যায় প্রতিদিন।
শরতের বাতাসে চিঠি ভাসে দূরে,
গ্রহাণুর ছায়া হয়ে, অর্কেস্ট্রার সুরে।
তুমি পড়ো যদি শুধু এক অক্ষরখানি,
দেখবে ভালোবাসা নক্ষত্রের বাণী।
আমরা দুজন জ্বলছি ভিন্ন দিগন্তে,
তবু একই আলোয় মিলি অনন্ত প্রান্তে।