মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ)-তে কর্মরত প্রায় ৫০০ সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নরম কূটনীতির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে আসছে।
ভিওএ’র মূল সংস্থা ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম)-র ভারপ্রাপ্ত প্রধান কারি লেক শনিবার এক ঘোষণায় বলেন, “এ পদক্ষেপের ফলে সরকারি আমলাতন্ত্র হ্রাস পাবে, সেবার মান উন্নত হবে এবং করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় হবে।”
তবে কর্মীদের ইউনিয়ন একে ‘অবৈধ’ ছাঁটাই হিসেবে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, এটি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তারা বলেন, এত বড় সংখ্যায় সাংবাদিক ছাঁটাই করা যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সংস্থার আদালত নথি অনুযায়ী, এবার মোট ৫৩২টি পদ বাতিল করা হবে, যার মধ্যে অধিকাংশই ভিওএ’র। এ পদক্ষেপ কার্যকর হলে ভিওএ-তে মাত্র ১০৮ জন কর্মী অবশিষ্ট থাকবেন। এর আগে গত জুনে কারি লেক ৬৩৯ জনকে বরখাস্তের নোটিশ দিলেও কাগজপত্রের জটিলতায় তা কার্যকর হয়নি। পরে কিছু কর্মী আদালতে মামলা করেন।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে সমালোচকরা বলছেন, ভিওএ সংকুচিত করা মানে শুধু কর্মী ছাঁটাই নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্প্রচার শক্তি ও প্রভাবকে দুর্বল করা। তারা মনে করছেন, বিশ্বব্যাপী সংবাদ প্রচারে ভিওএ-র ভূমিকা সংকুচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের নরম কূটনৈতিক শক্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উল্লেখ্য, ভিওএ বর্তমানে প্রায় ৫০টি ভাষায় টিভি, রেডিও ও অনলাইনে সংবাদ প্রচার করে থাকে।