ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, সেটি তার ফোনকলেই থেমেছিল।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “ভারত-পাকিস্তানের সংঘাত শুরুর পর আমি অত্যন্ত ভয়ংকর ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদিকে টেলিফোন করেছিলাম। ফোনকলে আমি তাকে জিজ্ঞেস করি, পাকিস্তানের সঙ্গে আপনাদের কী শুরু হয়েছে? তার রাগ ও ঘৃণা ছিল প্রচণ্ড। দুই দেশের মধ্যে এই অবস্থা অবশ্য অনেক দিন ধরেই চলছে—এটা অনেকটা শত শত বছর ধরে চলা শত্রুতাপূর্ণ মনোভাবের মতো।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “ফোনকলে আমি মোদিকে বলেছিলাম—আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো বাণিজ্যিক চুক্তি করতে চাই না। যদি আপনারা এই সংঘাত থামাতে না পারেন, তবে এটা পরমাণু যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াবে। আমি তাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলাম, যদি আগামীকাল আমাকে ফোন না করেন— তাহলে আপনাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি তো করবই না, পাশাপাশি এমন উচ্চমাত্রার শুল্ক আরোপ করব যে আপনাদের মাথা ঘুরতে থাকবে।”
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা (লেট) ও জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেম)-এর বিরুদ্ধে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অভিযানে ৭০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি করে নয়াদিল্লি। এর পাল্টা জবাবে ৭ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনী চালায় ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’। ইসলামাবাদের দাবি, এতে ভারতে ৩১ জন নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়।
টানা পাঁচ দিনের পাল্টাপাল্টি সংঘাতের পর ৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে যায়। যদিও পাকিস্তান এ জন্য ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দিলেও ভারত তা স্বীকার করেনি। এর পর থেকেই ট্রাম্প-মোদি সম্পর্কের টানাপোড়েন প্রকট আকারে দেখা দেয়।
সম্প্রতি সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান