• আজ- বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

বাণিজ্যিকভাবে চালু হলো ফাইভজি সেবা

লেখক : / ৩০ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

add 1

দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের গতি নিয়ে নানা অভিযোগের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা ফাইভজি। সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রবি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি সেবা চালুর ঘোষণা দেয়। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে গ্রামীণফোনও ভিডিও বার্তার মাধ্যমে একই ঘোষণা দেয়।

রবির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারীসহ অনেকে।

রবি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের সাতটি এলাকায় ফাইভজি সেবা চালু হয়েছে। ঢাকার ফকিরাপুল, শাহবাগ, মগবাজার চৌরাস্তা, চট্টগ্রামের খুলশি এবং সিলেটের সাগরদীঘির পাড়ে ইতোমধ্যেই নেটওয়ার্ক সক্রিয় করা হয়েছে। এরিকসন ও হুয়াওয়ে রবির ফাইভজি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, “আমরা গ্রাহকের অভিজ্ঞতা যাচাই করছি। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ নির্ভর করবে গ্রাহকের ব্যবহার ও ফাইভজি উপযোগী ডিভাইসের উপস্থিতির ওপর।” তিনি জানান, বর্তমানে তাদের গ্রাহকের প্রায় ৬০ শতাংশের কাছে ফোরজি সমর্থিত স্মার্টফোন আছে, আর ৬-৭ শতাংশ গ্রাহকের কাছে ফাইভজি সমর্থিত ফোন রয়েছে। কিছু এলাকায় এই হার ২০ শতাংশ পর্যন্ত। আগামী বছরের শেষ নাগাদ ৮০০ থেকে এক হাজার ফাইভজি সাইট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ফাইভজি ইন্টারনেটের দাম ফোরজির মতোই থাকবে।

এদিকে গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা আজ বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে ফাইভজি সেবা চালু করছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফাইভজি সেবা চালু হওয়ায় স্মার্ট সিটি, টেলিমেডিসিন, এআর/ভিআর প্রযুক্তি, ক্লাউড গেমিংসহ বহু খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এ সেবা ব্যবহার করতে হলে গ্রাহকের মোবাইল ফোন অবশ্যই ফাইভজি সমর্থিত হতে হবে। তবে সিম পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই, শুধু নেটওয়ার্ক সেটিংসে ফাইভজি চালু করে ফাইভজি নেটওয়ার্কের আওতায় থাকতে হবে।

তবে দেশে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে ভোক্তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ এখনো রয়ে গেছে। অনেকেই বলেন, ওয়াইফাই ছাড়া মোবাইল ডেটায় ভিডিও দেখা বা ফাইল আপলোড-ডাউনলোড করা কষ্টসাধ্য।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ফোরজি চালু হয়। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর রাষ্ট্রীয় টেলিকম কোম্পানি টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি এলাকায় ফাইভজি চালু করেছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফাইভজির জন্য তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং চার অপারেটর—গ্রামীণফোন, রবি, টেলিটক ও বাংলালিংক ১৯০ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে ১২৩ কোটি ডলারে। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নীতিমালা প্রণয়ন ও মার্চে ফাইভজি লাইসেন্স দেওয়া হয়।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ