দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৩৮৮ দশমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, অর্থাৎ ৩১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি জানান, আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২৬ হাজার ৩৯৯ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন ডলার।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার এবং আইএমএফের হিসেবে ছিল ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। এর আগের ২১ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার, আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। তবে এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমতে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে ২০২৪ সালের জুলাই শেষে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার পরিবর্তনের পর থেকে অর্থ পাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং প্রবাসী আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ডলার প্রবাহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। হুন্ডি লেনদেন কমে যাওয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে। চলতি অর্থবছরের ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রবাসী আয় এসেছে ৪১২ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৯ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রিজার্ভে এই ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং ডলার বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।