তার ভগ্ন চাঁদের আলো এখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দুর্গের অবশিষ্ট ,
যেখানে রক্তনালীর পতাকা সাদা শ্যামলে টাঙানো।
নতুন আঘাতে সে যেন দেবালয়— ভগ্ন গীর্জার মতো;
আলো ঢুকলে শব্দ করে ভেঙে পড়ে, আর ছাই উড়ে যায়।
তারা না— সেখানে আগুণের অবশেষ, জ্বলন্ত কুঁড়ে কুঁড়ে কোলা,
প্রতিটি অশ্রু যেন কেটে যায় কাঁচের টুকরো, ভাঙন ছিঁড়ে রক্ত ছড়ায়।
চোখের মেঘপুঞ্জ এক সামরিক ঘাঁটি, প্রতিরোধ গড়ে ওঠে ব্যথার ব্যারিকেড;
নিঃশ্বাসের সঙ্গে ওঠে রাজপথের ধোঁয়া—ভাঙা ব্যান্ডের হাহাকার।
আমি দাঁড়িয়ে দেখি, হাত জুড়ে নেই কোনো শংসাপত্র,
শুধু প্রার্থনা যা কাঁধে নিয়ে বসে আছি, বিষ্ঠার মতো ভারী।
তবু মনে আসে—প্রতিটি অন্ধকারই এক দিন পঁচে ঝরে যাবে,
আর চোখটি, এই ভাঙা দুর্গ, আবার জাগবে—নব নির্মাণে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান