দেবহাটা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক সঞ্জিব ব্যানার্জী একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী জান্নাতুল ফেরদৌস সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে কুলিয়া আশুমার্কেট এলাকার একটি ভাড়াবাসা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গেছে, টাউনশ্রীপুর শরচ্চন্দ্র বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী জান্নাতুল ফেরদৌসকে কুলিয়া এলাকায় একটি বাসাভাড়া করে রেখে প্রতিনিয়ত সেখানে যাতায়াত করতেন শিক্ষক সঞ্জিব ব্যানার্জী।
এতে বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সন্ধেহের সৃষ্টি হতে থাকে। বৃহস্পতিবার পুনরায় ওই বাসায় প্রবেশ করে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে থাকলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে দেবহাটা থানায় নিয়ে আসে।
এঘটনার পর উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনার ঝড় বইছে। সেই সাথে ওই অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। অভিযোগ রয়েছে যে, সঞ্জিব ব্যানার্জীর বাবা ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ছিলেন। তার সুবাদে অত্র স্কুলে ছেলের চাকরি হয় ওই প্রতিষ্ঠানে। কয়েক বছর পর প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করে বাগিয়ে নেন সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ। এরপর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ম্যানেজ করে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি ফি, পরিক্ষা ফি, বিভিন্ন সময় শিক্ষক নিয়োগের টাকা ফান্ডে জমা না রেখে কয়জন মিলে আত্মসাৎ করে।
বিষয়টির সত্যতা মেলায় সঞ্জিব সহ জড়িতদের ৩ মাস করে বহিষ্কার করে। এছাড়া কিছু দিন আগে সঞ্জীব ও আয়া জান্নাতুল নলতাতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে বসবাস করছিলেন। বিষয়টি জানা জানি হলে সেখান থেকে কৌশলে চলে এসে কুলিয়ায় বাসা ভাড়া নেন সঞ্জিব ব্যানার্জী ও জান্নাতুল। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, শুক্রবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির এক জরুরী সভায় তদন্ত কমিটি গঠন ও একই সাথে ওই শিক্ষক এবং আয়াকে আগামী ৬ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দেবহাটা থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা হচ্ছে। তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।