সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী সদস্যদের জন্য হিজাব পরিধানের অনুমোদন একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর ইউনিফর্মের সাথে হিজাব পরিধানের বিষয়ে কোনো সুযোগ ছিল না। তবে নতুন এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নারীদের জন্য আরো একটি স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত হলো। সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
এই সিদ্ধান্ত শুধু নারী সেনা সদস্যদের পোশাক পরিধানের স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে না, বরং আধুনিকতার সঙ্গে ঐতিহ্যের ভারসাম্য রক্ষার প্রতিফলনও বটে। ইসলাম ধর্মের অনুসারী নারীদের জন্য হিজাব পরিধান একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুশাসন, যা ব্যক্তিগত আস্থার প্রতীক। নারীদের এ আস্থাকে সম্মান জানিয়ে সেনাবাহিনী যে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একটি উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের দিকে বড় পদক্ষেপ।
তবে, হিজাবের নকশা, কাপড়ের ধরন, রঙ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিজাইন নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ বিষয়ে সেনাবাহিনীকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে। যেকোনো সামরিক বাহিনীর মূল উদ্দেশ্য হলো একাত্মতা ও শৃঙ্খলা রক্ষা, আর এই সিদ্ধান্ত তার সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নারীদের ক্ষমতায়নের এই ধরনের পদক্ষেপগুলো সামগ্রিকভাবে দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।