আপনি কি কখনো কোনো রুমে ঢুকে ভুলে গেছেন কেন এসেছেন? অথবা কারও নাম বা টু-ডু লিস্ট মনে করতে ব্যর্থ হয়েছেন? আপনি একা নন।
আজকের ব্যস্ত ও তথ্যভর্তি জীবনে ভুলে যাওয়া খুব সাধারণ। তবে এটি বার্ধক্য বা দুর্বল স্মৃতির একমাত্র লক্ষণ নয়। সুখবর হলো, কিছু সহজ ও বিজ্ঞানভিত্তিক কৌশল মস্তিষ্ককে চমৎকারভাবে সাহায্য করতে পারে স্মৃতি ও মনোযোগ বাড়াতে।
আমাদের মস্তিষ্ক ছবি বা চিত্রকে শব্দের চেয়ে ভালোভাবে মনে রাখে। কিছু মনে রাখার সময় সেটিকে একটি মানসিক চিত্রে রূপ দিন। যেমন, চাবি কোথায় রেখেছেন তা মনে রাখতে কল্পনা করুন—”উজ্জ্বল নীল নোটবুকের ওপর চাবি রাখা আছে”। এই কৌশলটি শপিং লিস্ট বা কারও নাম মনে রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর।
কোনো তথ্য তিনবার জোরে বা মনে মনে বললে তা দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিতে স্থান পায়। যেমন, কেউ বলল তার নাম “আনিতা”—তাহলে বলুন: “আনিতা, আনিতা, আনিতা”। এরপর একটি বাক্যে নামটি ব্যবহার করুন: “আনিতা ভালো গাইতে পারেন।” এটি মস্তিষ্ককে তথ্য নিবন্ধনে সহায়তা করে।
নাম বা তথ্য মনে রাখতে গল্প তৈরি করুন। উদাহরণস্বরূপ, “মিস্টার গ্রিন” নামটি মনে রাখতে একটি সবুজ গাছ কল্পনা করুন। বা “প্রফেসর বানানা” হলে ভাবুন, একটি কলা চশমা পরে আছে। মজার ও অদ্ভুত সংযোগগুলো সহজে মনে থাকে।
কলম ও কাগজে লেখা তথ্য মস্তিষ্কে ভালোভাবে সংরক্ষিত হয়, টাইপ করার চেয়ে। একটি ডায়েরি বা পরিকল্পনাকারী ব্যবহার করুন। লেখা শুধু তথ্য মনে রাখতেই নয়, মনোযোগ বাড়াতেও সাহায্য করে।
নতুন কিছু শেখার পর, কয়েক সেকেন্ড থেমে সেটির মূল পয়েন্টগুলো নিজেকে মনে করিয়ে দিন। এই সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা মস্তিষ্ককে জানায় যে তথ্যটি গুরুত্বপূর্ণ এবং মনে রাখা উচিত।
ভুলে যাওয়া অনেক সময় মস্তিষ্কের ক্লান্তির ইঙ্গিত। পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক বিরতি, এবং অনলাইন থেকে কিছু সময় দূরে থাকাই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। প্রকৃতিতে হাঁটা, গভীরভাবে শ্বাস নেওয়া বা মাত্র ১০ মিনিট ‘কিছু না করা’ মনোযোগ এবং স্মৃতিশক্তি পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে।