সাতক্ষীরা শহরের জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে। আতঙ্ক কাটতে শুরু করেছে। সেনা বাহিনীর উপস্থিতি এবং তৎপরতায় দুর্বত্তরা কোন ধরনের অস্থিরতা চালানোর সাহস পাইনি, অতি উৎসাহী দুষ্ট চক্র সোমবার বিজয় উৎসবের পরে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভাংচুর অগ্নী সংযোগের ঘটনা ঘটায়। গতকাল দিনব্যাপী সেনা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়ে জনসাধারনের মাঝে স্বস্তি আনায়ন করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় দুর্বত্তরা সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা করলে থানা পুলিশ নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমে ভাটা পড়ে। গতকাল থানায় পুলিশের উপস্থিতি এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিকে সাতক্ষীরা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া কয়েদি ও হাজতিদের উলে−খযোগ্য অংশ কারাগারে ফিরেছে। সাতক্ষীরা কারাগারের জেলার হাসনা জাহান বিথী জানান সোমবার বিকালে বিপুল সংখ্যক মানুষ কারাগারে সীমানায় প্রবেশ করে গেট ভাঙলে কয়েদীরা পালিয়ে যায় এ সময় আমি সহ আমার কয়েকজন কারারক্ষী আহত হই। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে উলে−খ যোগ্য সংখ্যক কয়েদী ও হাজতি কারাগারে পৌছেছে। এদিকে জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি শহরে দিনব্যাপী মাইকিং করে সব ধরনের বিশৃঙ্খলা হতে দুরে থাকার আহবান জানিয়ে মাইকিং করতে দেখা গেছে। কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা, ভাংচুর হতে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন। এক শ্রেনির অতি উৎসাহী লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন শান্তী প্রিয় জনসাধারন। সাতক্ষীরা পুলিশ গতকাল সন্ধ্যায় জনসাধারনের সেবা দিতে শুরু করেছে এর পূর্বে সদর থানায় বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী সাতক্ষীরায় যোগদানের পর থেকে পুলিশের ভাবমুর্তি বিশেষ ভাবে উজ্বল হয় যে কারনে জেলার অনেকেই পুলিশের অতীত কর্মকান্ড তুলতে বসেছিল। একাধিক পুলিশ সদস্যের সাথে কথা বলে জানাগেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। সাতক্ষীরার শান্তীপ্রিয় জনসাধারনের প্রত্যাশা দুর্বত্তরা যেন আর কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে।