বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যবস্থায় তথা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যতগুলো বিষয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়েছে, দেশের জন্য মর্যাদা আর সম্মানের ক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে, দেশকে উচ্চতায় নিয়ে আলোকিত করেছে তার মধ্যে অন্যতম সুন্দরবন। বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ অনন্য অসাধারন সৌন্দর্য আর সম্পদের লীলা ভূমি আমাদের প্রিয় সুন্দরবন, এই বন অভ্যন্তরে নানান ধরনের জীব বৈচিত্র, গাছ গাছালিতে ভরপুর, দেশের উপকুলীয় এলাকাকে রক্ষায় বারবার বুক পেতে দিয়ে সুন্দরবন প্রকৃতির রুদ্র রোষকে প্রতিহত করছে এবং নিজেই ক্ষত বিক্ষত হয়ে জনজীবনকে রক্ষা করছে। সম্পদে ভরা সুন্দরবন কেবল মাত্র জাতীয় অর্থনীতিতে কাঙ্খিত ভূমিকা রেখে চলেছে তা নয় স্থানীয় অর্থনীতিতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে চলেছে আমাদের প্রিয় সুন্দরবন। যুগ গতে যুগান্তর সুন্দরবনের অভ্যন্তরে হাজার হাজার জনগোষ্ঠী সম্পদ আহরন করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে চলেছে। বনজীবিদের পরিবার পরিজনের জীবন জীবিকার উৎস্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে সুন্দরবন। আমাদের প্রিয় সুন্দরবন, দেশের সম্মান এবং মর্যাদার প্রতিমুখ হিসেবে খ্যাত সুন্দরবন ধ্বংসে এক শ্রেনির দেশ বিরোধীরা তথা কথিত শিকারীও বন খেকোরা সংশ্লিষ্ট। যতই দিন যাচ্ছে বন অভ্যন্তরে কর্মরত বনজীবিদের কেউ কেউ জীব বৈচিত্র ধ্বংস করে চলেছে। সুন্দরবন রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে খ্যাত বাঘ পর্যন্ত শিকারীদের তার্গেট। এক শ্রেনির চোরাশিকারীরা সুন্দরবনের কর্তারা রাজা খ্যাত বাঘ পর্যন্ত শিকার করে চলেছে। দৃশ্যতঃ সুন্দরবনকে বাঘ ও চরম নিরাপত্তা হীনতায়। আমাদের প্রিয় বনের রুপ আর সৌন্দর্যের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হরিন শিকার ও থেমে নেই। সুন্দরবনের মুধু, গোলপাতা, মৎস্য সবই অর্থনীতির জয়গান গেয়ে চলেছে। আর প্রতিনিয়ত সুন্দরবন অর্থনীতির মহাক্ষেত্র বির্নিমানের সুযোগ সৃষ্টি করে চলেছে। আমাদের প্রিয় সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। বন রক্ষায় ও উন্নয়নে নিয়োজিত বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অধিকতর দায়িত্বশীল এবং অনিয়ম মুক্ত হতে হবে।