নিজস্ব প্রতিনিধি: অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনিয়ম দূর্নীতির প্রতিবাদে মানব বন্ধনও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে শনিবার সকাল ১০ টার সময় শহরের খুলনা রোড মোড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে ও সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক আবু সাঈদ এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা প্রভাষক ইদ্রিস আলী, সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ, উদীচী সাতক্ষীরা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন।
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির শাকিবুর রহমান বাবলা, নদী ও বন পরিবেশ রক্ষা সাতক্ষীরা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মফিজুর রহমান, ভুমিহীন কমিটির সাতক্ষীরা সভাপতি কওসার আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, সুজন এর সাতক্ষীরা পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক মোঃ আশরাফুর রহমান খোকন, শিক্ষক মনোরঞ্জন সরকার, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, এডভোকেট খগেন্দ্রনাথ ঘোষ, এডভোকেট সামসুজ্জামান খোকন, এডভোকেট আবুল কালাম, সাংবাদিক ডি এম কামরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক জি এম রেজাউল করিম রেজা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সদস্য সাংবাদিক ইকরামুল কবির, স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সদস্য জি এম আবু জাফর, সাংবাদিক এস এম রনি প্রমূখ।
মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তাগন বলেন সাতক্ষীরায় ২৬৮ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে এর মধ্যে মাত্র ৫ টি ক্লিনিক এর বৈধ কাগজ পত্র আছে এর মধ্যে কোনো টির বৈধ কাগজপত্র নেই। দীর্ঘদিন ধরে ঐ সব ক্লিনিক অবৈধভাবে চলছে কিন্তুু প্রশাসন ও সিভিল সার্জন তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনের ব্যবস্থা না নেয়াই মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হয়ে পঙ্গু রবণ সহ অহরহ মৃত্যুর কোলে নিমজ্জিত হচ্ছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের ডাক্তার গন ঐ অবৈধ ক্লিনিকের মালিক, এমনকি তাদের অধিকাংশ ক্লিনিকের ব্যাবসার সাথে জড়িত এদের বিরুদ্ধে এখুনি আইনে ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান।
শুধু তাই নয় ঐ সমস্ত অবৈধ ক্লিনিক তথাকথিত সমিতির নামে স্বাস্থ্যক্ষাতে দীর্ঘদিন অনিয়ম দূর্নীতি করছে। এর পিছনে কলকাঠি নাড়ছেন কথিত সমিতির কামরুজ্জামান রাসেল। সাংগঠনিক সম্পাদক ও অবৈধ ক্লিনিকের মালিক আবু বককার সিদ্দিক ও পাটকেলঘাটার কথিত লোকনাথ নার্সিং হোম এর মালিক লোকনাথসহ আরো অনেকেই। সম্প্রতি লোকনাথ নার্সিং হোমে একাধিক রুগীর মৃত্যুর কারনে প্রশাসন বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বক্তব্যে আরো বলেন শহরের মধ্যে অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করছেন ডাক্তার হাফিজুল্লার ট্রমা সেন্টার, গাইনি হাসপাতাল। ডিজিটাল হাসপাতাল, ডক্টর হাসপাতাল, সংগ্রাম হাসপাতাল, আনোয়ারা ক্লিনিক, সততা ক্লিনিক, এস ডিসহ জেলার সমস্ত উপজেলায় ব্যাঙ এর ছাতার মত গজানো অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্লিনিক সহ ডায়াগনস্টিক সেন্টার যাহা মানুষের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছে যাহা স্বাস্থ্য নিতির আইন বহিঃপ্রকাশ।