৫ আগস্ট ২০২৪ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে, যা জনবিদ্রোহ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অনেকেই এটি বিপ্লব মনে করছেন, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে কিছু নির্মাণের চেয়ে সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নাগরিকেরা রাষ্ট্রের নানা সমস্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন, কিন্তু শাসকেরা এর প্রতি মনোযোগ দেননি।
আগের অভ্যুত্থানগুলো জনগণের সুবিধা এনে দিতে পারেনি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থান এবং ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানেও একই ঘটনা ঘটেছে—পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারও কারসাজির শিকার হয়েছে, যা এক-এগারোর ধাক্কা এনে দেয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, ছাত্র-তরুণেরা ভূমিকা পালন করেছে এবং সরকার সংস্কারের অঙ্গীকার করছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সংবিধানে পরিবর্তন আনা জরুরি, যাতে শাসকেরা নাগরিকদের নির্যাতন ও শোষণ করতে না পারে। রাজনৈতিক দলগুলোরও নিজেদের সংস্কার করতে হবে। দলগুলোর অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা না হলে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়।
নির্বাচিত সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণ না করার বিষয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে স্পষ্ট প্রস্তাব থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর অবশ্যই সংস্কার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সিটিজেন চার্টারের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।