দুপরে রোদে মাঠজোড়া, পায়ে ছিল ধূলার ছোঁয়া,
চুড়ি ভাঙা শব্দ পেরিয়ে, খেলার ডাকটা কানে বয়া।
“বউচি” বলে দৌড় দিতাম, ছায়া ছুঁয়ে পালাতাম,
কাঠপুতুলের বিয়ে হতো, হাড়ি ভাঙা গানে মাততাম।
গোল্লাছুটে হাতের ছোঁয়া, লুকোচুরি গাছে গাছে,
চোর-পুলিশে ধরা পড়ে, দম বন্ধ হতো হঠাৎ কাছে।
বেলুনে ভরা স্বপ্ন ছিল, ডাঙি খেলা ভেজা মাঠে,
গরুর গাড়ির চাকা ঘুরে, গল্প লিখতো নতুন পাতে।
গরুর গাড়ি, সাইকেল রেস, কলস কাঁধে দৌড় প্রতিযোগী,
টিয়াপাখির মতো করে, সবার গলায় হাসির সুর বাজি।
কানামাছি ভোঁ ভোঁ করে, বন্ধ চোখে খুঁজতাম চেনা মুখ,
সে মুখ আজ কোথায় গেছো? স্মৃতির পাতায় রেখে দুখ।
একচিলতে ডাঙার উপর, দাঁড়িয়ে “ইচিং বিচিং” খেলতাম,
কিংবা টায়ার ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে, গলির মোড়ে স্বপ্ন বুনতাম।
বৃষ্টির মাঝে কাদা লাফ, হাতপাখা দিয়ে চলতো নৌকা,
পিচঢালা রাস্তায় চকচকে ছিল আমাদের শৈশব মেলা।
আজ সবই স্মৃতির খেলা, স্মার্টফোনে বন্দি মুখ,
মাঠের ঘাসে গড়াগড়ি, নেই সে হাসির তুমুল সুখ।
তবু হৃদয়ে বাজে এখনো, সেই বাঁশির ডাক, সেই বিকেল,
শৈশব আমার, খেলার নাম, জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চিহ্ন।