এক যে ছিলো রাজা, খাইতো শুধু গাঁজা,
আর খাইতো পান, গাইতো শুধু গান।
রাজার ছিলো রানি, সুন্দরী তা জানি,
রাণীর হাতে জল, সে খাইতো শুধু ফল।
দিন যে চলে যায়, রানি গর্ভবতী হয়,
সময়কালে ফুটফুটে এক কুমার জন্ম দেয়।
দিনের পরে দিন, রাজার হয় যে অনেক ঋণ,
ধীরে ধীরে রাজ্যটা তার হয়ে পড়ে ক্ষীণ।
পাইক-পেয়াদা তায়, মাইনে যে না পায়,
ধীরে ধীরে তারা সবাই রাজার ছেড়ে যায়।
একদিন এক ক্ষণে, শত্রু এসে হানে,
রাজায় তারা মেরে দিলো শুল চড়িয়ে জানে।
সুন্দরী সেই রানি, কুমার নিয়ে কোলে,
প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেল গহিন এক জঙ্গলে।
গহিন সেই জঙ্গলে, বাঘ-ভালুকের বাস,
কুমার কোলে নিয়ে রানি বাঁচার করে আশ।
ছোট্ট এক কুটিরে, তারা বসত করে,
পাশ দিয়ে তার বাঘ সিংহ ক্ষুধার তরে ঘোরে।
একদিন সাঁঝের কালে রানি জল আনিতে গেলো,
বাঘ মামায় যে ধরে তরে মজা করে খেলো।
ছোট্ট কুটির ঘরে, কুমার কান্না করে,
তাই দেখিয়া বনের দেবীর মায়া হয় অন্তরে।
মস্ত পাঁজর মেলে, নেয় যে কোলে তুলে,
মাতৃ স্নেহে লালন করে মানব শিশু ভুলে।
রাজা মরলো, রানি মরলো, রইলো না আর কেউ,
রইলো শুধু রাজকুমার, দেহে নিয়ে রাজ বংশের ঢেউ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আব্দুর রহমান
লেখা পাঠানোর ইমেইল: sahityapata24@gmail.com