আমাদের দেশের রাজনীতিতে এখন সত্যকে বিকৃত করার এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে অসম্মানিত করার এক বিশ্রী প্রবণতা চলছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও উদ্যোগকে বিকৃত করে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, তা আমাদের সমাজের গভীর সমস্যার প্রতিচ্ছবি। যখন একজন জাতীয় নায়ক, নোবেল বিজয়ী, এবং বিশ্ব দরবারে সম্মানিত ব্যক্তি ড. ইউনূস দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নতুন করে দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কথা বলেন, তখন সেটাকে বিকৃত করে প্রচার করা হয়, যেন তিনি দেশের গৌরবময় ইতিহাস মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ধরনের মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার জাতিকে বিভ্রান্ত করে।
ড. ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ চাপার উদাহরণ নতুন করে শুরুর ইঙ্গিত দেয়, যা একটি দুর্নীতিমুক্ত ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান। অথচ কিছু গোষ্ঠী এ কথাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করছে, যেন তিনি দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। ড. ইউনূস কখনোই আমাদের স্বাধীনতার গৌরবকে ছোট করে দেখেননি, বরং তিনি সবসময় দেশের সম্মান ও উন্নয়নের পক্ষে থেকেছেন। তার নেতৃত্বে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এক চরম কঠিন সময় পার করছে, যেখানে প্রশাসন এবং রাজনৈতিক পরিবেশ এখনও পুরনো গোষ্ঠীগুলোর প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি।
এ পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, একদিকে দেশের কিছু মানুষ নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় আছেন, অন্যদিকে পুরনো অপশক্তিগুলো তাকে ব্যর্থ করতে নানা চক্রান্তে লিপ্ত। তারা শুধু সরকারকেই নয়, পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করে তাদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। কিন্তু, এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে তারা ড. ইউনূসের মতো নেতার অগ্রযাত্রা থামাতে পারবে না। দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহল তার সঙ্গে আছে।
এক্ষেত্রে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে। সত্যকে বিকৃত করার এ প্রবণতা প্রতিরোধ করতে হবে এবং দেশের স্বার্থে সঠিক নেতৃত্বের পাশে থাকতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ গঠন এখন অনেকাংশে নির্ভর করছে, আমরা কোন পথে এগোব।