রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফুটপাত দখলকারীদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৩ মের মধ্যে এ তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট শুনানির পর এ আদেশ দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিত তালুকদার। আমিত তালুকদার বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করছে কিছু ব্যক্তি। জনগণের স্বাভাবিক চলাচলও বিঘ্নিত করছে তারা। এ নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে একটি রিট দায়ের করে। রিটের শুনানিতে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন এবং দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।’ তিনি বলেন, ‘এই আদেশের আলোকে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবের পক্ষে অ্যাফিডেভিট দাখিল করে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। যার সদস্যরা হলেন– স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব, সিআইডির ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, রাজউকের একজন সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন উপসচিব।’
এর আগে, ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট কমিটির সভাপতি ড. মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ফুটপাত দখলের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছেন বলে সভার আলোচ্যসূচিতে উঠে আসে। সভায় ১৫ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান ওয়াকওয়ে ও ফুটপাতের তালিকা এবং অবৈধভাবে তা দখলকারীদের তালিকা করতে বলা হয়। অপর এক সিদ্ধান্তে ফুটপাত ভাড়া ও বিক্রির অবৈধ অর্থ আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও রাজউককে। তবে ১৫ দিনের মধ্যে তালিকা ও দখলকারীদের নাম দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও আট মাসে তালিকা দাখিল হয়নি।