বাংলাদেশের ঋতু বৈচিত্রের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সময়ে শীত ঋতু চলছে। শীত সামনেই প্রকৃতিতে পরিবর্তন আর পরিবর্ধনের ছোয়া। আমাদের দেশের ছয় ঋতুর মধ্যে শীত ঋতু অন্যতম আবহমানকাল যাবৎ এদেশের জনজীবন শীতের সাথে যেমন পরিচিত অনুরুপ ভাবে শীত ঋতু জনজীবনকে বিশেষ ও ব্যাপক ভাবে প্রভাবতি করে থাকে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ হলিও সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ছয় ঋতুর পরিবর্তে গুটি কয়েক ঋতুতে পরিনত হয়েছে যার মধ্যে অন্যতম শীত। এই ঋতু ও পরিবর্তনশীল ঋতুর সাথে সম্পৃক্ত বিশেষ করে শীতের সময় গুলোতে কোন কোন মৌসুমে শীতের দেখা মেলেনা আবার কোন কোন মৌসুমে অতি শীত এর প্রকোপে জন সাধারনের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা বিপন্ন ঘটে। বর্তমান মৌসুমে অনুরুপ ভাবে শীতের প্রকোপ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ায় দৃশ্যতঃ জনজীবনে এক ধরনের অস্বস্থি শুরু হয়েছে। অন্তত সপ্তাহ ব্যাপী দেশের সর্বত্র শীত আর শীত একদিকে শীতের প্রকোডপ বেড়েছে অন্যদিকে শীতের তীব্রতায় শীত বাহিত নানান ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্য পৌষের পর বলা যায় পৌষের শেষ সপ্তাহে শীতের যে তান্ডব আর চোখ রাঙানী শুরু হয় মাঘের প্রথম দিনগুলোতেও তা অব্যাহত আছে। আমাদের দেশের ঋতু পরিবর্তনের কারন হেতু শীতে সময়ে শীত না পড়া আবার অতি শীতের কারনই বিবেচ্য বিষয়। গত কয়েকদিন যাবৎ চলমান শীতের প্রকোপ সাধারন মানুষের মাঝে জেকে বসেছে শীতের পাশাপাশি ছর্দি, কাশি, হাপানি, শাসকষ্ট, এ্যালার্জি, নিউমনিয়া ডায়রিয়া সহ নানান ধরনের শীত বাহিত রোগ। রোগ বালাই ছড়িয়ে পড়া এবং সাধারণ মানুষের আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া কায়িক শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতের তীব্রতায় মাঠে, ক্ষেতে কাজ করতে না পারায় জীবন জীবিকার সংকটে পড়েছে। শীতের সময় গুলোতে হত দরিদ্র এবং শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই। সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই শীত নিবারনের ব্যবস্থা করা সম্ভব।