বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে দূরে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তবে সামান্য কিছু ভুল আপনার ভ্রমণকে বিব্রতকর করতে পারে। ভ্রমণকে আরও উপভোগ্য এবং স্মরণীয় করে তুলতে কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ মেনে চলা দরকার। নিচে দেওয়া টিপসগুলো অনুসরণ করলে আপনার ভ্রমণ হবে নির্ঝঞ্ঝাট ও আনন্দময়।
১. লিস্ট তৈরি করা:
ভ্রমণের সময় কী কী করবেন, তার একটি লিস্ট প্রস্তুত করুন। এতে সময়ের সঠিক ব্যবহার হবে এবং কোথায় কত সময় ব্যয় করবেন, তা পরিকল্পনা করা সহজ হবে। লিস্ট অনুযায়ী গন্তব্য ঠিক করুন।
২. হালকা লাগেজ:
যতটা সম্ভব হালকা লাগেজ রাখার চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাদ দিয়ে নিন, এতে সহজে ব্যাগ বহন করতে পারবেন। ভারী ব্যাগ আপনার ভ্রমণের আনন্দকে তিক্ত করতে পারে।
৩. সঠিকভাবে প্যাকিং:
স্যান্ডেল বা জুতা পলিথিনে মুড়িয়ে ব্যাগে রাখুন, এতে কাপড় বা অন্য জিনিসপত্র নোংরা হবে না। প্যাকিংয়ের সময় ছোটখাটো বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখুন।
৪. স্থানীয় খাবার:
ভ্রমণের সময় স্থানীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনি সেই এলাকার স্বাদ ও সংস্কৃতিকে অনুভব করতে পারবেন। রেস্টুরেন্টের খাবার এড়িয়ে স্থানীয় মানুষের পছন্দের জায়গায় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. অফ-সিজন ভ্রমণ:
ভ্রমণের মৌসুমের বাইরে ভ্রমণ করলে খরচ কম হবে। অফ-সিজনে পর্যটকের সংখ্যা কম থাকে, ফলে হোটেল, পরিবহন ও খাবারের খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হয়।
৬. যাতায়াতের ব্যবস্থা:
ভ্রমণস্থানের অভ্যন্তরীণ যাতায়াত সম্পর্কে আগেই ধারণা নিন। স্থানীয় যানবাহন নিয়ে বেশি ঠকার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগেই যানবাহনের ভাড়া সম্পর্কে জেনে নিন, যাতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে না হয়।
৭. অতিরিক্ত টাকা:
আপনার বাজেটের বাইরে কিছু অতিরিক্ত টাকা সঙ্গে রাখুন। যেকোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে এই টাকা কাজে লাগতে পারে। মোবাইল ব্যাংকিং, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডও ব্যবহার করতে পারেন।
৮. ছোট ব্যাগ:
মোবাইল, মানিব্যাগ ও দরকারি ছোটখাটো জিনিস রাখার জন্য ছোট একটি ব্যাগ সঙ্গে রাখুন। কোমরে রাখা যায় এমন কিছু ব্যাগও খুব কার্যকর হতে পারে।
৯. চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক:
মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসের চার্জার নিতে ভুলবেন না। পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখলে ভালো হয়, কারণ রুমের বাইরে থাকলে এটি কাজে লাগবে। বিশেষ করে ছবি তোলার জন্য মোবাইলের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।
১০. ইয়ারফোন:
ভ্রমণে সময় কাটানোর জন্য ইয়ারফোন বা ছোট স্পিকার সঙ্গে নিতে পারেন। গ্রুপে থাকলে সবার জন্য স্পিকারের মাধ্যমে গান চালিয়ে একটি আনন্দঘন আড্ডা জমাতে পারবেন।
এই টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ভ্রমণ হবে আরও উপভোগ্য ও স্মরণীয়।