• আজ- সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন

বিচারের রায়ে জনগণের জয়—গণতন্ত্রের পথে এক আশাবাদ

লেখক : / ৬৪ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫
Fakhrul

add 1

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন একের পর এক সংকট ঘনিয়ে আসছে, তখন উচ্চ আদালতের একটি রায় নতুন করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি আস্থার বার্তা দিল। বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ নিতে আর কোনো আইনি বাধা না থাকার রায়কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘জনগণের বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেওয়া তাঁর এই প্রতিক্রিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান নয়, বরং দেশের সংবিধান ও নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের গভীর প্রত্যাশারও প্রতিচ্ছবি।
মির্জা ফখরুলের ভাষ্য অনুযায়ী, সিটি নির্বাচন জনগণের স্পষ্ট রায় দিয়েছিল ইশরাক হোসেনের পক্ষে, অথচ সে রায় বাস্তবায়ন হয়নি। আজ উচ্চ আদালতের রায় সেই দাবির প্রতি ন্যায়ের সমর্থন হিসেবে প্রতিভাত হলো। এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এক গভীর বার্তা—নির্বাচনের প্রকৃত অর্থ জনগণের মতামতে নিহিত, সেটি পদ বা শক্তি দিয়ে বদলানো যায় না।

এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি মহাসচিবের আহ্বান—সরকার যেন দ্রুত শপথের ব্যবস্থা নেয় এবং নেতাকর্মীরা যেন সড়ক থেকে সরে গিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখে—একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন।
তবে প্রশ্ন থেকেই যায়—এই আদালতের রায় বাস্তবে কতটা বাস্তবায়িত হবে? শাসক দল কি আদালতের নির্দেশনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেবে? এমন এক সময়ে যখন রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন এই রায় এবং এর প্রতিক্রিয়া দেশকে আরও দায়িত্বশীল গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ এনে দিতে পারে।
অপরদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকেও শুধুমাত্র আইনি জয়েই সন্তুষ্ট না থেকে জাতীয় স্বার্থে সমঝোতা, গণসংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রতি আরও সক্রিয় অঙ্গীকার প্রয়োজন। সবশেষে বলা যায়, আদালতের রায় যদি বাস্তব রূপ পায়, তবে তা শুধু একজন রাজনীতিকের নয়, গোটা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার বিজয় হবে। আর সেটাই হবে আইনের শাসন এবং জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত জয়।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ