প্রত্যেক সন্তানের জীবনে যিনি ছায়ার মতো আগলে রাখেন, দিক নির্দেশনা দেন, কঠোরতা আর ভালোবাসার অপূর্ব মিশেলে গড়ে তুলেন এক অবিচল ভরসা—তিনি হচ্ছেন বাবা। “বাবা” শব্দটিই যেন এক অনুভব, এক আশ্রয়। এই শব্দের মধ্যে লুকিয়ে থাকে নির্ভরতা, শ্রদ্ধা, নিঃশব্দ ত্যাগ আর নিখাদ ভালোবাসা।
প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘বিশ্ব বাবা দিবস’। যদিও সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসা কিংবা বাবার প্রতি সন্তানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য নির্দিষ্ট কোনো দিনের প্রয়োজন নেই, তবুও এই দিনটি যেন আমাদের একটু থমকে দাঁড়াতে শেখায়। স্মরণ করিয়ে দেয় সেই মানুষটিকে, যিনি জীবনের প্রতিটি বাঁকে নীরবে সাহস জুগিয়েছেন।
বাবা দিবস পালনের ইতিহাসও বেশ প্রাচীন। ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় প্রথমবারের মতো এ দিবস পালিত হয়। পরে সনোরা স্মার্ট ডড নামের এক নারীর অনুপ্রেরণায় ১৯১০ সালে এটি সামাজিকভাবে গুরুত্ব পেতে শুরু করে। দীর্ঘ পথ পেরিয়ে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন এটি সরকারিভাবে ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
বাবা যেন প্রতিদিনের জীবনের এক নীরব সংগ্রামী। কখনো ঘাম ঝরানো শ্রমিক, কখনো পরিবারের মাথার ছায়া, কখনো বা সন্তানদের স্বপ্নপূরণে আত্মত্যাগী এক যোদ্ধা। এই বিশাল হৃদয়বান মানুষটির জন্য একটি দিন হয়তো যথেষ্ট নয়, কিন্তু শ্রদ্ধা জানাতে তো দেরি করা চলে না।
📢 লেখা আহ্বান
বাবা দিবস উপলক্ষে সাহিত্যপাতা-য় আমরা আহ্বান জানাচ্ছি—
👉 আপনার লেখা প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, গল্প কিংবা কবিতায় প্রকাশ করুন বাবা নিয়ে আপনার ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর স্মরণীয় মুহূর্ত।
✍️ লেখা পাঠান: sahityapata24@gmail.com
🖥️ প্রকাশিত হবে: www.sahityapata24.com
এই বাবা দিবসে কলম হোক শ্রদ্ধার অনুবাদ।
লিখুন, স্মরণ করুন, ভালোবাসুন।