খোকা ডাকে মেঘ টাকে আমার কাছে আয় রে?
কালো মেঘের হাসি পেল, হাসি আলোয় চমকে
হেসে হেসে ফেললো কেঁদে,খোকা ভয়ে থমকে।
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, মেঘটা তো ঐ অনেক দূর
ঝুমুর ঝুমুর ঐক্যতানে বাজে খুকুর পায়ে নূপুর।
গাছের পাতা ফেললো ছাতা লুকিয়ে ওই পাখিরা
ধৈর্য্য ধরে থাকলো কতক, পালিয়ে গেল বাকিরা।
উঠোন কোণে কাঁপছে শীতে ভাবছে কি কুকুরটা
কানায় কানায় উঠল ফুলে ভরছে জলে পুকুরটা।
উজান ঠেলে চ্যাং শোল, টেংরা পুঁটির ডামাডোল
শালুক পাতায় বৃষ্টির ফোঁটা টলমল দোদুলদোল।
ব্যাঙ -ব্যাঙাচিদের নৃত্য চলে, কী যে খুশির চিত্তে
কোলাব্যাঙের বৌয়ের হঠাৎ সর্দিকাশি হয় পিত্তে।
ভূতের মা, শুতে যা? মেঘ ডাকছে ঐ হুড়ুম গুড়ুম
মেঘ টা ভেঙে পড়বে যখন পেটের ছা পড়বে ঘুম!
চারিদিকে মুষলধারে গাছের আড়ে ডোবার ধারে
সকাল দুপুর বৃষ্টি পড়ে, বর্ষাকালের এই আষাঢ়ে।
টিনের চালে করতালে, ঝুমুর ঝুমুর বাজলো সুরে
নতুন বউ, যাচ্ছে দূরে বাপের বাড়ি গোপালপুরে।
জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দৃষ্টিটা খোকার বাইরে
গুঁড়ি গুঁড়ি ইলশেগুঁড়ি শীতল করেই সে যায় রে!
কদম ফুলের গন্ধে ভরে খোকার সারা ঘরে ঘরে
বৃষ্টি মুখর সেই দিনটি মধুর! শুধুই যে মনে পড়ে!