• আজ- সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন

প্রাচীন জ্ঞানের আলোয় আধুনিক মনন

লেখক : / ৭৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

add 1

আজকের বিশ্বে আত্মউন্নয়ন যেন এক শিল্প। প্রতিদিনই বইয়ের দোকানে হাজির হচ্ছে নতুন নতুন ‘সেলফ হেল্প’ গাইড, দ্রুত সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে শতশত পৃষ্ঠা। কিন্তু এমন এক সময়েও কিছু বই টিকে আছে সময়ের সকল ঝড়ঝাপটায়। এরা কোনো নতুন নাম নয়—প্রাচীন, ধুলোমলিন, কিন্তু অক্ষয়। এমনই পাঁচটি বই আজও আমাদের ভাবনায় আলো জ্বালায়।

সান জুর ‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’, যেখানে যুদ্ধের বাইরেও জীবনের যুদ্ধে কৌশল শেখা যায়। তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ শ্রেষ্ঠতা হলো লড়াই না করেই জয় পাওয়া।” এই কথা কেবল সামরিক কৌশল নয়, আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত দ্বন্দ্ব সমাধানের এক দর্শন হয়ে ওঠে।

এপিকটেটাসের ‘এনকিরিডিয়ন’, আমাদের শেখায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন না হতে। “তোমার নিয়ন্ত্রণে যা আছে, কেবল সেটাতেই মন দাও”—এই একটি বাক্যেই লুকিয়ে আছে একবিংশ শতাব্দীর উদ্বেগগ্রস্ত মনকে মুক্তির পথ দেখানোর চাবিকাঠি।

মার্কাস অরেলিয়াসের ‘মেডিটেশনস’, ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো লেখা, কিন্তু আজ তা হয়ে উঠেছে আত্মজিজ্ঞাসার জন্য এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী। “তোমার মনই তোমার শক্তি”—এই বাক্যটি যেন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিযোগিতায় ক্লান্ত মানুষের এক অন্তর্দৃষ্টি।

অ্যারিস্টটলের ‘নিকোম্যাকিয়ান এথিকস’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়, নৈতিকতাই মানুষের আসল পরিপূর্ণতা। সাহস, সংযম ও প্রজ্ঞার ভারসাম্যে গড়ে ওঠে একটি পূর্ণ জীবন।

অন্যদিকে, বুদ্ধের ‘ধম্মপদ’ মানবমনকে জানার এক অনন্য দলিল। “আমরা যা ভাবি, আমরা তাই হয়ে উঠি”—এই উপলব্ধি আমাদের শেখায় মনোযোগ, সংযম ও বর্তমানকে গ্রহণ করতে।

এই পাঁচটি বই রাতারাতি কোনো মিরাকল এনে দেয় না। বরং তারা আমাদের শেখায়—ধৈর্য ধরতে, চিন্তা করতে, নিজেকে জানতে। আমরা যখন ত্বরিত ফলাফল আর ভার্চুয়াল ব্যস্ততায় দিশেহারা, তখন এই প্রাচীন গ্রন্থগুলো আমাদের টেনে আনে গভীরের দিকে।

আজকের সাহিত্যপাতা তাই কেবল আধুনিক রচনার বাহার নয়, বরং পুরনো পাণ্ডুলিপির ধুলোর নিচে লুকিয়ে থাকা দীপ্তি খোঁজার একটি প্রয়াস।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ