সবুজ পাতার কোমল ছায়ায়,
নীরব বনে বাজে বাঁশি,
পাখির গানে ভোরের আলো—
ডালে ডালে জাগে হাসি।
শিশির কণা ঘাসের বুকে,
রৌদ্র ছোঁয়ায় দীপ্তিময়,
সূর্য উঠে আকাশপানে,
জেগে ওঠে প্রাণের জয়।
নদীর বুকে সোনার রোদে
ছলছল সুর বাজে হেসে,
তরঙ্গ ছুঁয়ে বয়ে চলে
আকাশ জুড়ে মেঘের কেশে।
শাল-গজারির ঘন বনে
জড়ানো কুয়াশা নরম ঠাণ্ডা,
প্রজাপতির পাখায় রং,
রূপের খেলা পাতায় বাঁধা।
রঙিন পুষ্প মেলে আঁচল,
মৌমাছিদের গানের ধারা,
বকুল, কদম, শিউলি-বেলি—
ভরিয়ে তোলে দিনের পারা।
বসন্ত আসে রঙের মালায়,
ফাগুন হাওয়া ছুঁয়ে যায়,
পলাশ-শিমুল জ্বলে ওঠে,
নতুন রঙে পথ সেজায়।
বর্ষা নামে নীল গগনে,
মেঘের বুক ফাটে সুরে,
বাদলের ঐ রিমঝিম ছন্দে
ধরা কাঁপে হৃদয়পুরে।
শীতের সকালে কুয়াশা ঢাকে,
সূর্য হাসে নরম মুখে,
কাঁপে পাতা, পাখি চুপচাপ,
ঘর ফিরে চড়ুই সুখে।
সন্ধ্যা নামে ধানের খেতে,
হাওয়ায় ভাসে গানের সুর,
নিভে আসে আলোর রেখা,
চাঁদ হাসে তারাদের দূর।
জোনাকিরা জ্বালে আলো,
রাত্রি জুড়ে স্বপ্ন বোনে,
নীরবতার ওই অন্তরে
প্রকৃতি তার ভাষা খোলে।
এই তো ধরা, এই তো জীবন,
রঙে রঙে গাঁথা প্রাণ,
প্রকৃতিরই বুকে লুকানো—
ভালোবাসার চিরন্তন গান।