নানার বাড়ি, মধুর হাড়ি।
কতই – না শুনিতাম।
শিশু কালে, মায়ের কুলে।
সেথায় তো যায়তাম।
স্বজন প্রীতি, মধুর রীতি।
সবাই ভাবিতাম।
অর্থ আর দাম্ভিকতা,
ছিলোনা কোনো কাম।
একি সাথে, একি মাঠে।
আমরা খেলিতাম।
নানার বাড়ি, মোদের বাড়ি।
তা-ই তো ভাবিতাম।
খাওয়ার তালে, কথার ছলে।
নানায় বলি তো।
হাড়ি আমার শুন্য করে,
তোরা দিলি তো।
গোধূলির কালে, নিদ্রার তালে।
আমরা লুটাইতাম।
যেথায় খালি, সেথায় হালি।
আমরা ঘুমাইতাম।
আজতো বড় দাম্ভিক আমি,
অর্থে বিত্তবান।
সাহসায় কি বসতে পারি,
ধূলো মেঝে ও-ই উঠান।
নানা নেই, নানি নেই।
শুন্যে হা-হা কার।
ভালোবাসা বস্তিতে আজ,
সবাই যার যার।