বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে দূষণের তালিকায় আবারও শীর্ষে উঠে এসেছে ঢাকা। ২৩ মে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একিউআই (বায়ুর মান সূচক) স্কোর ছিল ১৬১ — যা “অস্বাস্থ্যকর” স্তরে পড়ে। এ অবস্থান কেবল পরিসংখ্যানগত লজ্জা নয়, এটি একটি সরাসরি স্বাস্থ্য সংকেত। যেখানে প্রতিদিনের শ্বাস-প্রশ্বাসই জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, সেখানে নাগরিকের মৌলিক অধিকার—পরিষ্কার বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া—চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে।
প্রতিনিয়ত বর্ধিত হচ্ছে বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতা, বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হৃদরোগ ও নানা জটিলতা। বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠী এসব দূষণের মারাত্মক শিকার। অথচ এই ভয়াবহ বাস্তবতায়ও আমরা দেখছি না প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছা বা বাস্তবভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি কোনো কার্যক্রম।
একদিকে, নির্মাণ কাজের অব্যবস্থাপনা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা ও শিল্পকারখানার অনিয়ন্ত্রিত নির্গমন—সব মিলিয়ে রাজধানী এখন এক বিষাক্ত ধোঁয়ার কুয়াশায় ঢাকা নগর। অন্যদিকে, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব, নিয়মিত মনিটরিংয়ের ঘাটতি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় অবস্থা ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে।
এখনই সময়—সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, পরিবেশ অধিদফতর এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি জাতীয় পর্যায়ের জরুরি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের। ঢাকার বাতাসকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে নিতে হবে কার্যকর উদ্যোগ:
অন্যথায়, ঢাকা কেবল দূষণের তালিকায় নয়, একদিন হয়তো বসবাসের অযোগ্য নগরীতেও পরিণত হতে পারে। এখনই সময়—দূষণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার, আর সেই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে হবে রাষ্ট্রকেই।