ডেঙ্গু জ্বর বাংলাদেশে ক্রমাগত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১,২২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং আটজন মৃত্যুবরণ করেছেন, যা এই বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করছে এবং জনগণকে নতুন করে সতর্কতার আহ্বান জানাচ্ছে।
বিগত বছরগুলোতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কিছু সফলতা দেখালেও, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায় এবং এ বছর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সালে যেখানে ২৮১ জন মারা গিয়েছিলেন, এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১৫৮-এ পৌঁছেছে, যা পূর্বাভাস দেয় যে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু এমন একটি রোগ যা দ্রুত প্রকৃতি পরিবর্তন করে। এর লক্ষণগুলো দ্রুত বদলায়, এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। এডিস মশার বিস্তার রোধে শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থাই নয়, প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা এবং ব্যাপক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা, যেখানে পানি জমে থাকতে পারে এমন জায়গা অপসারণ, মশার কামড় থেকে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া একান্ত জরুরি।
সার্বিকভাবে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি। সতর্কতা এবং সচেতনতা ছাড়া এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।