একচালা টিনের ঘর
সামনে খোলা মাঠ,
নামাজ রোজা হয় সেখানে
হয় যে কোরআন পাঠ।
টিনের চালে রোদ বৃষ্টি
পূর্ব কোণের দিকে,
নীল আকাশে চাঁদ দেখা যায়
জ্বলছে ধিঁকে ধিঁকে।
এটা যেন শান্তি নগর
পদ্মা সেতুর পাশে,
এপার থেকে দূর দেখা যায়
নৌকা টলার ভাসে।
ওই গ্রামে থাকে ইমাম
সত্যের বাতি ধরায়,
অর্ধ পাকা টিনের ঘরে
নামাজ কালাম পড়ায়।
সালাম হুজুর শীত গরমে
কষ্ট করে খেটে!
আঁলোয় আঁলোয় রশ্মি বিলায়
জীবন যাচ্ছে কেটে।
🕊️ জীবন যাচ্ছে কেটে
✍️ আব্দুস সাত্তার সুমন
কবিতার সারাংশ ও ভাবনা:
এই কবিতায় কবি তুলে ধরেছেন পদ্মা সেতুর পাড়ে এক গ্রামীণ জনপদের মসজিদ ও ইমামের জীবনসংগ্রামের কথা। ‘একচালা টিনের ঘর’ আর ‘পদ্মা সেতুর পাশে’—এই দুটি চিত্রের মাধ্যমে কবি গ্রামীণ পরিবেশের সরলতা, শান্তি এবং ধর্মীয় আবহ তুলে ধরেছেন।
কবিতায় দেখা যায়—
মসজিদের নির্মল পরিবেশে কোরআন পাঠ, নামাজ ও সাধনা চলছে;
প্রকৃতির সাথে একাকার হয়ে আছে মানুষের জীবন;
ইমাম সাহেব শীত-গরমে পরিশ্রম করে দ্বীনের আলো ছড়াচ্ছেন;
জীবনের প্রতিটি দিন কাটছে এই সংগ্রামের মাঝেই।
ছন্দ ও রচনাশৈলী:
চার পঙক্তিতে গঠিত প্রতিটি স্তবকেই সহজ ভাষা, ছন্দবদ্ধতা ও অনুভবের গভীরতা রয়েছে। ‘নীল আকাশে চাঁদ দেখা যায় / জ্বলছে ধিঁকে ধিঁকে’—এমন চিত্রকল্প পাঠকের মনে নিঃসন্দেহে প্রশান্তি আনে।
শেষ মন্তব্য:
এই কবিতাটি শুধু একটি ইমাম কিংবা মসজিদকে নিয়ে লেখা নয়, বরং আমাদের সমাজে ধর্মপ্রাণ, সৎ, নিরহংকারী মানুষদের প্রতিচ্ছবি। তারা প্রচারের আলোয় না এসেও সমাজে নীরবে আলোকবর্তিকা হয়ে থাকেন।