• আজ- সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:০৪ অপরাহ্ন

হাটে গরু বিক্রি কম, খামারিরা হতাশ

আব্দুর রহমান / ৭৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫
পশুর হাট
কোরবানির ঈদ

add 1

ঈদুল আযহা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কোরবানির ঈদকে ঘিরে দেশের পশু খামার ও হাটগুলোতে স্বাভাবিকভাবে জমজমাট কেনা-বেচার দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু সাতক্ষীরার হাটগুলোতে এবার সে চিত্র ভিন্ন। ক্রেতাশূন্য পশুর হাট, দাম নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং খামারিদের হতাশা মিলিয়ে এক ধরনের অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সাতক্ষীরার বড় বড় হাট যেমন আবাদের হাট ও পাটকেলঘাটা হাটেও কাঙ্ক্ষিত জমজমাট কেনাবেচা দেখা যাচ্ছে না। ক্রেতারা বলছেন দাম বেশি, বিক্রেতারা বলছেন উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম কম। মধ্যবর্তী এই ব্যবধান থেকেই মূল সমস্যার উৎপত্তি। খামারিরা যেমন গবাদিপশুর জন্য গো-খাদ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্য সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন, তেমনি সাধারণ ক্রেতারা ক্রয়ক্ষমতার সীমায় এসে পৌঁছেছেন।

এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ভারত থেকে গরু আমদানির পথ বন্ধ হওয়ায় অভ্যন্তরীণ খামারগুলোতে নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এটি খামার শিল্পের বিকাশে ইতিবাচক হলেও, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির বিষয়টি এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সংবাদে উল্লেখ রয়েছে, গত বছর যেখানে গরু বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩২-৩৫ হাজার টাকায়, এবার তা নেমে এসেছে ২৫-৩০ হাজারে, অথচ গো-খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এই বৈষম্য খামারিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্নে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।

এ অবস্থায় প্রয়োজন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ। প্রথমত, খামারিদের জন্য গো-খাদ্য ভর্তুকির ব্যবস্থা বা কম দামে খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, বাজারে স্বচ্ছতা আনতে মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণ জরুরি, যাতে উৎপাদক এবং ক্রেতা উভয়ই ন্যায্য মূল্যে লেনদেন করতে পারেন। তৃতীয়ত, পশুর হাটে সরকারিভাবে ডিজিটাল মুল্য তালিকা ও স্বাস্থ্য তদারকি জোরদার করা দরকার।

পশু খাত শুধু ঈদ কেন্দ্রিক অর্থনীতিতেই নয়, সারা বছরের একটি কর্মসংস্থান ও পুষ্টির উৎস। তাই এর ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকার, খামারি, হাট কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তাদের মধ্যে সমন্বয় অত্যাবশ্যক। সাতক্ষীরার হাটে যে সমস্যার ছবি উঠে এসেছে, তা গোটা দেশের জন্যই সতর্কবার্তা হতে পারে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ