আমি পারভেজ, তিন বছরের ক্লাসের খাতা,
ডায়েরির পেছনে লেখা—”ইঞ্জিনিয়ার হবো, কথা দিচ্ছি মা।”
হোস্টেলের বারান্দায় গল্প, ক্যাম্পাসের চা,
আর একটুখানি হাসি—তাতেই গলা টিপে ধরলে না?
হাসলাম তোদের দিকে? না হয় ভুল করেই হাসলাম,
তুই তো ভাই ছিলি, তুই তো বললি—”দেখা হবে সন্ধ্যায়।”
সন্ধ্যা এলো, সঙ্গে এলো ধারালো ইস্পাত,
বন্ধুরা দূরে, আর তোরা সাত।
শাটার নামল, আমি ভাঙলাম,
রক্তে ভেজা হাত উঁচু করেও কিছু পেলাম না।
সিকিউরিটি ছিল, তবে ‘অফিস টাইম’ শেষ,
আমার প্রাণের দাম তোদের নীতিমালায় নেই—দুঃখ এই বেশ।
শিক্ষক দেখেনি, প্রশাসন ব্যস্ত,
মা কাঁদে—”আমার ছেলে ছিল না কি যথেষ্ট?”
টিভিতে নাম, পোস্টারে ছবি,
তবে কি মৃত্যুই আজ আমার পরিচয় হবে চিরকবি?
আমি পারভেজ, বলছি কেবল একবার,
পরের পারভেজ যেন না মরে এভাবে হার।
বিশ্ববিদ্যালয়, শহর, সমাজ—জেগে ওঠো,
তুচ্ছ কারণ যেন না হয় আবার মৃত্যুর চোখে চোখ রাখার রথ।