• আজ- মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

কবিতার বরপুত্র কবি শামসুর রাহমান

লেখক : / ২৮৭ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

add 1

আধুনিক বাংলা কবিতার এক অনন্য প্রতিভাদীপ্ত কবি শামসুর রাহমান। কাব্য রচনায়, সৃষ্টিশীলতা ও মননের দ্যুতিময় উপস্থাপনা তাকে দিয়েছে কবিতার বরপুত্রের উপাধি। ছন্দময় ও শিল্পিত শব্দের প্রক্ষেপণে কবিতার চরণে চরণে বলেছেন দেশ, মাটি ও মানুষের কথা। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে বাঙালির স্বাধীনতার কথা বলেছেন কবিতায়। নাগরিক এই কবি আমৃত্যু স্বদেশ ও শেকড়ের প্রতি ছিলেন দায়বদ্ধ।

ভিডিও দেখুন

পাশাপাশি সমকালীনতা ধারণ করে আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত সমাজের কামনা করেছেন কাব্যের ছন্দে। আজ বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান এই কবি ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরোনো ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নেন এই বরেণ্য কবি।
১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর তিলোত্তমা শহর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্মেছিলেন এই কবি। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝের ৭৭ বছরের বর্ণময় জীবনের বড় অংশজুড়েই নিমগ্ন থেকেছেন কবিতা সৃজনের মোহ ও অনুরাগে। পুরোনো ঢাকায় বেড়ে ওঠায় নগরজীবনের নানা অনুষঙ্গ ও প্রকরণ উদ্ভাসিত হয়েছে তার নাগরিক কবিতার কবিতায়। জীবনানন্দ পরবর্তী বাংলা কবিতাকে আধুনিকতার পথে ধাবিত করায় তার ভূমিকাটি একেবারেই স্বতন্ত্র।
বিশ শতকের তিরিশের দশকের পাঁচ মহান কবির পর তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ হিসেবে প্রসিদ্ধ। ষাটের দশকে গোড়ার দিকেই কবি প্রতিভার বিচ্ছুরণে আলোকিত করেন সাহিত্যের ভুবন। সূচনাটা অস্তিত্ববাদী ইউরোপীয় আধুনিকতায় ধাবিত হলেও একটা সময়ে দেশজ সুর ও ঐতিহ্যকে কবিতায় ধারণ করেছেন নিবিড় মমতায়। সমকালীন ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে চিরকালীনতার অনুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবিতার বুননে।
সম্প্রদায়িকতা ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যেমন কবিতার ভাষায় প্রতিবাদ করেছেন তেমনি মুক্তিযুদ্ধকালে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত মানুষকে প্রেরণা দিয়েছেন কবিতার সৃষ্টিশীলতায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ওপর লিখিত তার দুটি বিখ্যাত কবিতা ‘স্বাধীনতা তুমি’ ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ একই সঙ্গে অনুপ্রেরণাদায়ী ও ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, জীবনানন্দ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন শামসুর রাহমান। রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়া হয়। বাবা মুখলেসুর রহমান চৌধুরী ও মা আমেনা বেগম। ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে কবি ছিলেন চতুর্থ।
পুরোনো ঢাকার পোগোজ ইংলিশ হাইস্কুল থেকে ১৯৪৫ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, ’৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি হন এবং তিন বছর নিয়মিত ক্লাসও করেন সেখানে। শেষ পর্যন্ত আর মূল পরীক্ষা দেননি। পাসকোর্সে বিএ পাস করে তিনি ইংরেজি সাহিত্যে এম এ (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করলেও শেষ পর্বের পরীক্ষায় অংশ নেননি।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ