• আজ- সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১০:০৬ অপরাহ্ন

এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন কেন উপযুক্ত? প্রেস সচিব জানালেন কারণ

লেখক : / ১৮ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

add 1

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হয়েছে এপ্রিল মাসে। এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ বেড়েছে। বিএনপি ও তাদের সহযোগী দলগুলো এই সময়কে আদর্শ মনে করছে না। কিন্তু শুধু রাজনৈতিক স্বার্থের ভিত্তিতেই নয়, দেশের বৃহত্তর স্বার্থ এবং বাস্তবতার আলোকে এই সময় নির্ধারণের পেছনে রয়েছে যুক্তিসংগত কারণ।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিন আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই, প্রতীক বরাদ্দ এবং প্রচার—all এই কার্যক্রম রোজা ও আবহাওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে করতে হয়। এপ্রিলের তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কম থাকার কারণে প্রচার কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে, যা সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে।

তবে শুধু আবহাওয়া বা রোজার হিসেব করলেই কাজ শেষ নয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ। সংখ্যালঘু রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত রাখা, জটিল রাজনৈতিক ইস্যুগুলো নিষ্পত্তি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা তৈরি—এসব কাজ সমান গুরুত্ব বহন করে। এসব কাজের সুষ্ঠু সমাধান ছাড়া ভোটের প্রকৃত সফলতা অসম্ভব।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য স্পষ্ট—এ নির্বাচন শুধু ভোট নয়, দেশের দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ও বিচারব্যবস্থার পরিবর্তনের পথপ্রদর্শক। এটা আর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো নয়, যেখানে নির্বাচনই ছিল একমাত্র কাজ। এই অন্তর্বর্তী সরকার আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে চলেছে, যা সময়সাপেক্ষও বটে।

অতীতে ভোটের সময় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ছিল পারস্পরিক দ্বন্দ্বপূর্ণ। তবে এবার সরকারের এই সময় বাছাইয়ের পেছনে আছে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার গভীর চিন্তা। রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এখন পার্থক্য ভুলে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সমঝোতায় আসা।

অবশ্য, যে কোনো নির্বাচনেই চ্যালেঞ্জ থাকবে। কিন্তু দেশের গণতন্ত্রের গভীরতা ও জনমানুষের বিশ্বাস বাড়াতে হলে সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। এ সময় নির্বাচন করাই দেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

সুতরাং, এপ্রিলের নির্বাচন হবে দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। নির্বাচনের সুষ্ঠু আয়োজন ও স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ মনোভাবই দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করবে।

add 1


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অন্যান্য লেখা সমূহ