সাহিত্যপাতা ডেস্ক: ঈদুল আজহার আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও শুরু হলো কর্মজীবনের চিরচেনা ছন্দ। দীর্ঘ ১০ দিনের ছুটি শেষে আজ রোববার (১৫ জুন) থেকে খুলেছে দেশের সব অফিস, আদালত, ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠান। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে কর্মদিবসের স্বাভাবিক কার্যক্রম।
পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম জীবনের অন্যতম প্রধান উৎসব। উৎসব মানেই স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা, গ্রামবাংলার প্রিয় মুখগুলোকে দেখে প্রাণ ভরে ওঠা। এ বছর সরকারের দেওয়া নির্বাহী আদেশ এবং পূর্বঘোষিত ছুটির সমন্বয়ে সরকারি কর্মজীবীরা পেয়েছেন টানা দশদিনের অবকাশ। ফলে অনেকেই এই সুযোগে ছুটে গেছেন গ্রামের বাড়ি কিংবা প্রিয়জনদের কাছে।
তবে ঈদ যাত্রা বরাবরের মতো এবারও ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতার। কেউ কেউ নিশ্চিন্তে পৌঁছেছেন গন্তব্যে, আবার কেউ কেউ ভোগান্তির মুখে পড়েছেন ফেরার পথে। ঈদের ছুটির শেষদিনেও ভোর থেকে রাজধানীর সদরঘাটে নেমেছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা লঞ্চ যাত্রীদের ঢল। সেই সঙ্গে ঢাকায় ফিরে গণপরিবহনের সংকট ও অতিরিক্ত ভাড়ার অভিযোগ করেছেন অনেকে। যাত্রীদের এই ভোগান্তি যেন ঈদের আনন্দে কিছুটা হলেও ছায়া ফেলেছে।
ঈদের মতো বড় উৎসবের পর ছুটি থেকে ফিরেই কর্মক্ষেত্রে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করাটা যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি প্রয়োজনও বটে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এখন জমে থাকা কাজ, ফেলে রাখা সিদ্ধান্ত, আর্থিক হিসাব এবং নতুন পরিকল্পনার চাপ। তবে এই বিরতি কর্মজীবীদের মানসিক প্রশান্তি ও পারিবারিক বন্ধনকে নতুনভাবে জাগিয়ে তুলেছে নিঃসন্দেহে।
এমন দীর্ঘ ছুটির পর আমাদের উচিত জীবনের ভারসাম্য রক্ষা করে দায়িত্বের জায়গায় ফের সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া। একইসঙ্গে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অসঙ্গতিগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করাও জরুরি। যাতে ভবিষ্যতের উৎসবযাত্রা হয় আরও নিরাপদ, আর স্বস্তিদায়ক।
প্রত্যাবর্তনের এই দিনে আমরা আশা করি, পরিবারে কাটানো মুহূর্তগুলো হবে কর্মক্ষেত্রে নতুন উদ্যমের অনুপ্রেরণা। কাজের ভেতরেই থাকুক সেই উৎসবের রেশ।